উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে কেন
৬ অক্টোবর মাঝরাতে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারকে পড়ে থাকতে দেখা গেল সিড়ির ওপর। পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে জানালো, বেধড়ক পিটুনিতে নিহত হয়েছে সে। প্রাথমিকভাবে জানা গেল রাত ৮টার দিকে আবরারকে তার রুমমেটদের সামনেই রুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। তারপর আর রুমে ফেরেনি আবরার, মধ্যরাতে মিলল শরীরে অসহ্য জখমে জর্জরিত তার লাশ।
এর আগের দিন আবরার বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখেছিল যা আপাত দৃষ্টিতে সরকারের সমঝোতা চুক্তির সমালোচনা। পত্রিকা মারফত এটুকু জেনেই চারিদিকে যখন রব উঠছিল, স্ট্যাটাস লেখার জন্য আবরারকে ‘পিটিয়ে হত্যা’ করা হয়েছে তখন আমি আমি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম যে ‘ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার দায়ে আবরারকে হত্যা করার জন্য নয়, বিশেষ পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেন সে এমনটা আর কোনদিন না করে। আর দফায় দফায় নতুন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে সেই শিক্ষা দেওয়ার জন্যই প্রশিক্ষণের ওভারডোজে বেচারা আবরারের প্রাণবায়ু বেড়িয়ে গেছে- টের পায়নি প্রশিক্ষকগণ।
এছাড়া সন্ধ্যায় একটা ছেলেকে রুম থেকে সবার সামনে ডেকে নিয়ে যাওয়া হলো- কেউ বাঁধা দিলো না, দীর্ঘক্ষণ ছেলেটি ঘরে ফিরলো না, কেউ খোঁজও নিল না- এতে প্রমাণিত হয় যে এমন শিক্ষা বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রায়ই দেওয়া হয় ধরে নিয়ে গিয়ে। তাই অন্যরা আবরারকে নিয়ে যাওয়া দেখে ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক মনে করেই নিশ্চিন্তে ছিল এবং এদের মধ্যেই কেউ কেউ ডেকে নিয়ে যাওয়ার কারণ আঁচ করতে পেরে আবরারের মত এমন স্ট্যাটাস আর লিখবে না বলে মনে মনে পণ করছিলো। এবং এটাই যদি সত্যি হয় তাহলে আবরারের হত্যার দায় অসংখ্য বুয়েটিয়ানের। কারণ, তারা নীরবে সমর্থন করে এই দখলদারি, তাবেদারি সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় দিয়ে আসছিলো বলে আজ অকালে প্রাণ হারালো আবরার। সেইসাথে খুনের দায়ে অনিশ্চিত হয়ে গেল আরো কতগুলো সম্ভাবনাময় প্রাণ।
এই হত্যার দায় বুয়েটের শিক্ষক এবং প্রশাসনেরও। তারাও এটাকে জেনে-না জেনে, আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে প্রতিপালন করে আসছিলেন।’
উল্লেখ্য, এসব যখন আমি বলছিলাম তখন সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাওয়া যায়নি। কারো কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ, বিবৃতি না পাওয়া সত্ত্বেও এবং বুয়েটের পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই বুয়েটের দিকে আমি এভাবে আঙ্গুল তুলতে পেরেছিলাম সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে-আবাসিক হলে দখলদারি কার্যকলাম সম্পর্কে অবগত থাকার কারণে। ধরেই নিয়েছিলাম সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে অলিখিত দখলদারি চলছে বুয়েট তার বাইরে যেতে পারে না।
তারপর সিসিটিভি ফুটেজ গণমাধ্যমে আসার পর দেখলাম, আমার অনুমান মিলে গেল। দেখা গেল, মেরে ফেলার জন্য নয়, নির্যাতন করার জন্য আবরারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সে মারা গেছে এটা বুঝতে পারেনি নির্যাতকরা। তাই তারা ডাক্তার ডেকে পরীক্ষা করছিলো আবরার বেঁচে আছে কিনা। প্রভোস্ট এবং ছাত্র কল্যাণ পরিষদ প্রধানকেও ডাকতে দেখা যায়। প্রথম কথা হলো- কাউকে খুন করার উদ্দেশ্যে নিলে ঘর থেকে সবার সামনে পরিচিত জন এসে নিয়ে যেত না। আর মেরে গুম করার বদলে ডাক্তার, প্রাধ্যক্ষ, ছাত্রকল্যাণ প্রধানকেও ডাকা হতো না। খুনের এতগুলো প্রমাণ কেউ রাখে না, আর পূর্ব শত্রুতা ছাড়াও হুট করে কেউ কাউকে খুন করেনা। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে কেবল দখলদারি, তাবেদারি সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ হিসেবেই আবরারের নির্যাতন এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, আবরার হত্যার দায় প্রত্যক্ষভাবে কয়েকজনের হলেও এ দায় পরোক্ষভাবে বুয়েটের সংশ্লিষ্ট সবার। আর তাই আবরার হত্যার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে হলে বুয়েটকে এই দখলদারি সংস্কৃতিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। নইলে আবরারদের লাশের সারি দীর্ঘ হবে এবং তার দায়ে সকল বুয়েটিয়ান শাস্তি পাবেই পাবে। এ চর্চা অব্যাহত থাকলে আজকের বুয়েট শিক্ষার্থীর সন্তানরা যখন আবার এই বুয়েটে ভর্তি হবে তখন দেখা যাবে আবরারের মত তথাকথিত উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য নয়, সরাসরি মেরে ফেলার জন্যই শিক্ষার্থীদের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, আধিপত্য বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা মানুষের জন্মগত এবং এই আধিপত্যকামী মনোভাব মনুষ্যত্বকে বিলুপ্ত করে মানুষকে পিশাচে পরিণত করে।
যাহোক, পরবর্তীতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এই কথাটাই বলেছিল। দীর্ঘদিন যাবত তারা শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা এরকম নির্যাতিত হয়ে আসছিলো এবং বুয়েটে ভিন্নমত পোষণকারী প্রত্যেককেই শিবির আখ্যায়িত করে নিপীড়ন চালানো হতো বলেও জানায় তারা। এই অবস্থা বছরের পর বছর থেকে বিরাজ করছে বুয়েটে। তাই আবরার হত্যার পর যখন ডাকসু ভিপি নূরুল হক মিছিল নিয়ে বুয়েটে গেলেন তখন বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও আন্দালনে নেমে পড়লো। তখনো তারা দখলদারদের ভয়ে এতটাই ভীত যে আন্দোলনে বক্তব্য দেওয়ার সময়ও নিজেদের নাম ঘোষণা করছিলো না, পত্রিকায় বিবৃতি, স্বীকৃতি দেওয়ার সময়ও তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থেকেছে। শিক্ষার্থীরা পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ের নিপীড়ন উল্লেখ করে এর প্রতিকার চেয়ে আর্টিকেল লিখেছেও বেনামে। এর থেকেই তাদের মনের ভয়ের গভীরতার এক ভয়াবহ চিত্র কল্পনা করা যায়।
আবরার হত্যার বিচার এবং একই ঘটনা যেন পুনর্বার না ঘটে সেজন্য বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দাবি পেশ করলো প্রশাসনের কাছে। ভয় ছিল, আন্দোলন শেষে হলে-ক্লাসে ফিরলেও তাদের ওপর হয়রানি হবে। তাই এসবকিছু মাথায় রেখে তারা প্রশাসনের কাছে দশ দফা দাবি পেশ করলো যার অন্যতম ছিল- বুয়েট থেকে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি বাতিল করতে হবে।
যেহেতু আবরারের হত্যায় জড়িত প্রত্যেকেই ছিল রাজনৈতিক কর্মী এবং তাদের এমন নিপীড়নের অনেক নজির আছে, আবার আন্দোলন শেষেও তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর একই কাজ শুরু করবে তাই তাদের উচ্ছেদ চাইলো শিক্ষার্থীরা। এ চাওয়া নৈতিক, যথার্থ।
কিন্তু সকল সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি বাতিলের দাবি কেন? আমাদের গ্রামের একটা প্রবাদ আছে, ‘আকাম করে বেহুদ্দো, গাল খায় গুষ্টিসুদ্ধ’। অর্থাৎ একটি বংশের যেমন- ‘মোড়ল’ বংশের কেউ একজন অপরাধ করলে বলা হয় মোড়লরাই খারাপ। কিন্তু এটা কি ঠিক? একটি বংশের সবাই কি ভালো কিংবা সবাই কি খারাপ হয়? বাপের অপরাধে কি ছেলেকে ফাঁসি দেওয়া হয়? ছেলের অর্জন করা মেডেল কি বাপের গলায় পরানো হয়?
আচ্ছা, আবরার মৃত্যুর জন্য দায়ী কি ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রইউনিয়ন, ছাত্রফেডারেশন?- নয়তো, তাই না? বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর নিপীড়নেরও তো কোন নজির নেই।
তাহলে আবরার হত্যার সাথে জড়িতরা এবং সাম্প্রতিককালে বুয়েটের ছাত্র নিপীড়নের সাথে জড়িতরা প্রত্যেকে যখন ছাত্রলীগ তখন অন্যান্য সংগঠনের ওপর দায় চাপিয়ে সকল সংগঠনের রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া তো যৌক্তিক ন্যায়বিচার হয়না। এটা তো হয় উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মত অবস্থা।
এখানে উল্লেখ্য, আজকের বুয়েটিয়ানরা দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে ছাত্ররাজনীতি বলতে যা দেখেছে তা হলো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দলীয় স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করা, জোর করে কাউকে মিছিলে নিয়ে যাওয়া, হলে হলে আধিপত্য বিস্তার করা, যেনতেন কারণে কাউকে মেরে পঙ্গু করে দেয়া- এমন কিছু কার্যকলাপ।
যেহেতু তারা ছাত্ররাজনীতির নামে শুধু এগুলোই দেখেছে তাই তারা একবাক্যে বললো- ছাত্র রাজনীতিই তাদের শিক্ষা জীবনকে বিষিয়ে দিয়েছে, ছাত্র রাজনীতিই খারাপ। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলেই তারা নিস্তার পাবে। কিন্তু তারা বলতে পারলো না- ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক ছাত্ররাজনীতি খারাপ।
এখন অনেকের মনে জাগতে পারে যে তাহলে আমি হয়তো ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ হওয়ার দিকে আঙ্গুল তুলছি। না, ব্যাপারটা আসলে তাও নয়।
কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয় তার প্রথমটি হলো- সমস্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ। তারপর দ্বিতীয় ধাপে আসে সমস্যার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিতকরণ। তারপর যথাক্রমে অনুমিত সিদ্ধান্তগ্রহণ, সিদ্ধান্ত যাচাই-বাছাইকরণ, সংশ্লিষ্টদের অনুমোদন এবং সবশেষে বাস্তবায়ন। এখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের বিশ্লেষণ সঠিক না হলে সিদ্ধান্ত অনিবার্যভাবে ভুল আসে, এবং সমস্যা সমস্যাই থেকে যায়।
খেয়াল করি, সমস্যা হলো- জেনে অথবা না জেনে, পুরোপুরি বা আংশিক জেনে আবরার একটি সরকারি নীতির সমালোচনা করেছে। আর তার জন্য তাকে মারা হয়েছে। একই কাজ অন্যরা করলেও তাদের মারা হয়। আবার ছাত্রদের মধ্যে ভয় এবং আনুগত্য ধরে রাখার জন্য ক্ষমতাসীন সিনিয়রদের সালাম ঠুকতে বাধ্য করা, নতমস্তকে চলাফেরা করতে বাধ্য করা, কথায়-কাজে তাবেদারি করা, শারীরিক-মানসিক নিপীড়ন করা, র্যাগিং এর মাধ্যমে দাবিয়ে রাখা- এগুলো হলো সমস্যা।
এসব কারা করতো- ছাত্রলীগ? আমি বলব, না। এসব আসলে করতো ছাত্রলীগ নামধারীরা। রাজনৈতিক ছাত্রলীগ এটা করতে পারে না। কারণ- স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল পূর্ববাংলার স্বায়ত্বশাসনের জন্য, শাসক গোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরাধীন দেশে স্বাধীনতার পতাকা ওড়ানোর জন্য, দেশের স্বার্থে জীবন দেয়ার জন্য। সেদিনের ছাত্রলীগ তো কোন সাধারণ ছাত্রের ওপর নির্যাতন চালাতো না। আজ চালায় কেন? আজকের ছাত্রলীগ এবং অতীতের ছাত্রলীগের মধ্যে পার্থক্য তাহলে কোথায়? ব্যাস- একটা জায়গা ই পার্থক্য।
আর তা হলো- আজকের ছাত্রলীগের কোর পার্টি আওয়ামী লীগ আছে ক্ষমতায় আর সেদিনের ছাত্রলীগের আওয়ামী লীগ ছিল ক্ষমতার বিপরীতে। সুতরাং আবরারকে ছাত্রলীগ মারেনি, আবরারকে মেরেছে ‘ক্ষমতা’লীগ। বুয়েটের ছাত্রদের ওপর অকথ্য নির্যাতনের সংস্কৃতি ছাত্রলীগ জাগিয়ে রাখেনি- রেখেছে ক্ষমতালীগ। বর্তমানের ছাত্রদল, সাম্যবাদের আদর্শভিত্তিক প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন এবং অতীতের ছাত্রলীগের সাথে বর্তমান ছাত্রলীগের তফাত শুধুই ক্ষমতায়। অত্যাচারের জন্য যা দায়ী তা হলো- ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’।
আবার বুয়েটে পড়ুয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে খুনি এবং নিপীড়নকারীদের তফাতও শুধু ক্ষমতায়। আবরারের খুনি সেই ছাত্রদেরই অতীত আর বর্তমান বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে পার্থক্য শুধু ‘ক্ষমতায়’।
সুতরাং বুয়েটের ছাত্রদের জন্য যদি কেউ অকল্যাণকর কিছু করে থাকে সেই বস্তুটি হলো এই ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ নামক বিষয়টি। বাতিল যদি করতে হয় তাহলে এই ক্ষমতার অপব্যবহারকে বাতিল করতে হবে সংগঠন ভিত্তিক রাজনীতিকে নয়। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং দখলদারিত্বকে উচ্ছেদ না করে সংগঠন নিষিদ্ধ করলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে।
কারণ, ওরা নাম বদলিয়ে আসবে। লাউ ফিরে আসবে কদু নাম নিয়ে, ভূত ফিরে আসবে পেত্নীর নাম নিয়ে, মটকাবে ঘাড়। সাংগঠনিক পরিচয়ে না আসলেও দখলদাররা অন্য নাম নিয়ে ফিরে ফিরে আসবে। যখনকার সরকার ক্ষমতায় তার নাম ভাঙিয়ে ওরা দখলদারিত্ব, নিপীড়ণ চালাবে। ফলে যেকারণে আবরার মরেছে সেই একই কারণে অন্যরাও মরবে। একই নিপীড়ন তারা অব্যাহত রাখবে। আজ ছাত্রলীগ নাম নিয়ে করেছে কাল ‘নাইলীগ’ নাম নিয়ে করবে। মনে রাখবেন, রাজনৈতিক সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে, সাংস্কৃতিক সংগঠনের ওপর কিন্তু নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তাই কাল থেকে যখন ওরা সাংস্কৃতিক সংগঠন নাম নিয়ে নিপীড়ন চালাবে তখন কী বলবেন? পোশাকি নাম হবে সাংস্কৃতিক সংগঠন পোশাকের নিচের মানুষটা যদি আজকের নিপিড়নকারীদেরই একজন হয়- তখন কী হবে?
চলবে...
লেখক: সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।