‘ধর্ষণের হুমকি থেকে খুনের হুমকি কিছুই বাদ যায়নি’
“এর আগেও কম ঝড় যায়নি। ধর্ষণের হুমকি থেকে খুনের হুমকি কিছুই বাদ যায়নি। কিন্ত মানুষের সহ্যেরও একটা সীমা আছে। আর আগেও দুইবার থানায় যেতে হয়েছে। শাহবাগ থানায় জিডিটাও পর্যন্ত করতে পারিনি প্রথম বার। উপরের মানুষদেরকে ফোন দিয়ে জিডি করার সুযোগ পেয়ে ধন্য হতে হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি ইউনিটেও যাওয়া হয়েছে হয়রানির শিকার হয়ে। বিন্দুমাত্র সহযোগিতা তারা করেনি। এটার ক্ষেত্রেও পাবার তো কোনো আশাই দেখছি না।
গত দুইদিন ধরে যেভাবে টার্গেট করে করে সংঘবদ্ধ হয়ে মেয়েদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে সহজেই অনুমেয় এই কাজ কারা করেছে! নোংরামিরও তো একটা সীমা থাকে!! আমার কাজের সমালোচনা গঠনমূলকভাবে, যৌক্তিকভাবে করুক পারলে। এগুলা করে পায়ের তলায় যে একফোঁটা মাটিও আর অবশিষ্ট নেই, সেটা সবাইকে জানান দেয়ার কি আছে! এভাবে চরিত্রহনন কেন?
যে দেশে ধর্ষণেরই বিচার সরকার করে না, সেখানে এইসব সাইবার ক্রাইম তো দুধভাত! ট্রমা আর নিতে পারছি না। আমার সহ্যের লিমিট ক্রস করে গেছে।
এখন যদি আমি নিজেকে শেষ করে দেই, সেই দায় কাকে দিয়ে যাব? আম্মুর ভ্যানগার্ডদেরকে নাকি মমতাময়ী মাকে? নাকি এই সরকারকে, এই রাষ্ট্রকে?
যে মেয়েরা সাজুগুজু, পড়াশোনা, প্রেম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, ওদেরকে সাধুবাদ জানাই। কথা বলার কলিজা নিয়ে জন্মাইলে তারে নরক দেখাইয়া দেয়া হয় এই দেশে...”
ভিপি, শামসুন নাহার হল সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।