‘মেয়েদের শিক্ষাটা বিয়ের পাত্র জুটবে বলে’
নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিদ্যাসাগরের দ্বিশত বার্ষিকী নিয়ে তার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মেয়েদের শিক্ষাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিড ডে মিল জুটবে বলে, বা বিয়ের পাত্র জুটবে বলে। মেয়েরা পড়াশুনো করে বড় হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে, স্বাবলম্বী হবে, নিজের জীবন নিজেই পরিচালনা করবে- এমন মহৎ উদ্দেশে নয়।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, বিদ্যাসাগরের দ্বিশত বার্ষিকীতে ভাবছি। বিদ্যাসাগরের মতো হিন্দু ধর্মের আরও কোনও সংস্কারক গত দুশ বছরে জন্মেছেন কি? না, অমন কারও কথা তো জানিনা।
বিধবারা তো এখনও হবিষ্যি খান। একেবারে হবিষ্যি না হলেও মাছ মাংস বাদ দিয়ে খান। শাড়িও পরেন সাদা। একেবারে সাদা না পরলেও লাল রঙ এড়িয়ে চলেন। কপালে লাল টিপও পরেন না। এরকম আমি শিক্ষিত বাড়িতেই দেখেছি। বিধবার বিয়ে? হাজারে একটা?
মেয়েদের শিক্ষাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিড ডে মিল জুটবে বলে, বা বিয়ের পাত্র জুটবে বলে। মেয়েরা পড়াশুনো করে বড় হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে, স্বাবলম্বী হবে, নিজের জীবন নিজেই পরিচালনা করবে- এমন মহৎ উদ্দেশে নয়।
ধর্মীয় কুসংস্কারে বিদ্যাসাগরের সময়ে সমাজ যতটা আচ্ছন্ন ছিল, তার চেয়ে তো এখন কিছু কম আচ্ছন্ন নয়।
জাত পাতের বিরুদ্ধেও তো লড়েছিলেন বিদ্যাসাগর। জাত পাত ওপরে ওপরে নেই হয়তো, ভেতরে ভেতরে ঠিকই আছে।