বাবা-মাকে স্বপ্ন দেখিয়েছি, সেটা ভেঙে দেবেন না
প্রধানমন্ত্রী দেশে আসলেই সিদ্ধান্ত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্ত সাত কলেজ বাতিল হবে না থাকবে। তবে প্রশাসন চায় সাত কলেজ মুক্ত হতে, তাদের এই চিন্তা ভাবনাই আমাদের কপাল পুড়বে। আমার মনে হয়, আবার সেশনজটে পড়তে যাচ্ছি। ছাত্র জীবনের সবচাইতে বড় সমস্যা সাত কলেজের দ্বারপ্রান্তে।
আমি চাই, বাতিল না করে আমাদের আলাদা প্রশাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করুক। সবকিছু কলেজ কর্তৃক পরিচালনা হোক। ঢাবি শুধু সনদপত্র প্রদান করুক। কারণ কোন কলেজ সনদ প্রদান করার ক্ষমতা রাখে না। আর ঢাবির অন্য অধিভুক্ত কলেজগুলো যেভাবে পরিচালনা হয় সেইভাবে আমাদের পরিচালনা করুক। তাহলেই কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এমতাবস্থায় আমাদের অধিভুক্তি বাতিল করলে সকল সেশন ব্যাপক সমস্যায় পড়ে যাবে। এমনও হতে পারে দেড়-দুই বছরের সেশনজটে পড়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী, ভিসিসহ সাত কলেজের প্রিন্সিপালগণ বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন। আপনাদের সন্তানের মতো মনে করে আমাদের সমস্যাগুলো বিবেচনায় নিবেন। আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি।
আমরা আপনাদের সন্তান, আমাদের জীবনকে নষ্ট করে দিয়েন না। বাবা-মাকে স্বপ্ন দেখিয়েছি, সেই স্বপ্ন ভঙ্গ করার অধিকার কারো নাই। নিজের সন্তানের কথা চিন্তা করে আমাদের সমস্যাগুলো বিবেচনা করবেন। বাবা-মাকে জবাব দেওয়ার মতো কোন কথা মুখে এখন আর আসে না। হয়তো সন্তানের চাকরির বেতন বাবা-মা ভোগ করতে পারবে না। যদি আপনারা একটি ভুল সিদ্ধান্ত নেন, আমাদের জীবন তো শেষ। সেই সাথে দুই লক্ষ পরিবারের স্বপ্ন শেষ, কথাগুলো ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আকুল আবেদন রইল।
প্রসঙ্গত, লন্ডনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
লেখক: আহবায়ক
ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ ঐক্য পরিষদ