১৬ জুলাই ২০১৯, ২৩:০৪

অরক্ষিত আদালত পাড়া সুরক্ষিত হবে কবে?

  © টিডিসি ফটো

আমাদের শাসন ব্যবস্থার ৩টি স্তম্ভের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। বলা হয়ে থাকে, আইন ও শাসন বিভাগের কাছে মানুষ যখন আশ্রয়ও ভরসা পায় না তখন দ্বারস্থ হয় বিচার বিভাগের কাছে। যদিও বাংলাদেশের বিচার বিভাগের অবস্থা এখন আর আগের মতো নেই। এখন বিচার বিভাগও অনেকক্ষেত্রে উপর তলার হুকুমের অপেক্ষায় থাকে। তারপরও মানুষের আস্থার শেষ ভরসা এবং আশ্রয়স্থল হলো দেশের বিচার বিভাগ।

এখন কথা হচ্ছে, আমাদের দেশের বিচার বিভাগ এবং বিচারালয় গুলো কতটা সুরক্ষিত...? আমাদের মাননীয় বিচারক মহোদয়গণ কতটা স্বাধীনভাবে তাঁদের বিচারিক কার্যক্রম চালাতে পারছে? নিম্ন আদালতের কথা বাদেই দিলাম, উচ্চ আদালত কতোটা স্বাধীন এবং সার্বভৌম...?

এই প্রশ্নগুলো কিন্তু আমার একার না, এই প্রশ্নগুলো দেশের লক্ষ কোটি জনতার। কিন্তু সবাই সাহস করে মুখ ফুটিয়ে বলতে পারে না। যাইহোক এই প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো এই মহুর্তে কারো কাছ থেকে আমি বা আমরা পাবো না কিন্তু একদিন না একদিন অবশ্যই পাবো।

আদালতের আঙ্গিনায় অরক্ষিত বিচারালয়, এই কথাটা শুনলেই বুকটা কেঁপে ওঠে। গতকাল কুমিল্লার একটি আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন বিচারকের সামনে এক আসামি আরেক আসামিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার করে। এই অবস্থা দেখে মাননীয় বিচারক মহোদয় ভয়ে বলে উঠলেন। আমার সুরক্ষা কোথায়...?

আমার সহ দেশের মানুষের প্রশ্নজাগে, কি করে আদালতের মতো সুরক্ষিত একটি জায়গায় আসামি ছুরি পেলো কোথায়...? অথবা আসামির সাথে ছুরি থাকলেও পুলিশ কেনো তা দেখলো না বা জানলো না...? এতে কি এটাই প্রমাণিত হয় যে পুলিশ তাদের কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ..?

আমি আদালতের এই অবস্থা দেখে সত্যি চিন্তিত। দ্রুত দেশের বিচারালয় গুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি সরকারের কাছে। মানুষের আস্থার প্রতীক বিচার বিভাগকে আগের অবস্থায় দেখতে চাই আমরা, সেই অপেক্ষায় পুরো দেশ ও জাতি..!!

ফারুক হাসান
যুগ্ম-আহবায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ