মাদ্রাসায় কেন বাম ছাত্র সংগঠনের শাখা নেই?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসা থেকে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী চান্স পেয়েছে। চান্স পাওয়া ওসব শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে, এবং এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বক্তব্য দেড় বছর আগের হলেও নিন্দা জানানোর সময় চলে যায়নি।
মেজবা কামাল ৩৫ বছর ঢাবিতে শিক্ষকতা করছেন। এক সময় বিপ্লবী রাজনীতিও করেছেন তিনি। এখন অবশ্য সরকারের কথার বাইরে তত্ব দেন না। তো, আপনার সরাসরি ছাত্র হিসাবেই বলছি, ৩৫ বছর শিক্ষকতার গোটাটাই পানিতে গেলো? এখন আফসোস করছেন, অথচ চার দলীয় জোট সরকারের সময় যৌন নিপিড়িনের অভিযোগ উঠার পর আপনি নীরব হয়ে গেছিলেন, যাক সেসব কথা।
এনজিও বানিয়ে কোটিপতি হওয়া ছাড়া স্যার আপনি কি করেছেন? আজ ঢাবিকে মাদ্রাসাকরণের বিরোধিতা করছেন। মাদ্রাসায়তো গরীব ঘরের মানুষের ছেলেরা পড়ে। বাম হয়ে গরিব মানুষের সন্তানের ঢাবিতে আসা আটকাতে চান? এটি কোনো ধরণের হায়ার মার্কসিজম স্যার?
মাদ্রাসার বিরোধিতা না করে বরং আপনার এনজিওতে যে পশ্চিমারা ফান্ড দেয় তাদের বলেন। তারা কেনো ইসলামি রেডিকালাইজেশনের পেছনে টাকা ঢালে? আবার সেক্যুলার আপনাকেও দেয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে এ দেশে সংখ্যাগুরু মানুষের পক্ষের রাজনীতি করা যাবে না।
আচ্ছা কোনো বাম ছাত্র সংগঠনের কেন মাদ্রাসায় শাখা নেই? এই প্রশ্নের উত্তর আপনার প্রশ্নের মধ্যে আছে, আপনারা তাদের টাকনুর উপরে পায়জামা পরাকে হাস্যকর সেকেলে মনে করেন, তাদের মিসওয়াককে হাস্যকর মনে করেন, মুখে গন্ধকে ঘৃণা করেন। কিন্তু আপনাদের মুখে পাইলেরিয়া হয়ে বমিতে উষ্টাগত এটা আপনারা বুঝতেছেন না। নিজের গন্ধ নিজে বোঝা যায় না।
মাদ্রাসায় লাল পতাকা উড়বে একদিন। কারণ গরিব মানুষের ঈশ্বরের সাথে সত্যিকারে কমিউনিস্টদের কাজিয়া নেই, আছে মহব্বত। তার আগ পর্যন্ত এইসব বলে পতন আরো ত্বরান্বিত করুন।
[সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মী]