তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাজনৈতিক পরিবর্তনের অপার সম্ভাবনা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিছু মুহূর্ত আসে, যেগুলো কেবল একটি দলের বা ব্যক্তির রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং একটি জাতির ভবিষ্যৎ পথচলার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হয়ে যায়। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তেমনই একটি সম্ভাব্য মুহূর্ত। প্রায় দেড় যুগ প্রবাসে থেকেও তিনি কেবল রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়ই ছিলেন না, বরং দেশের মানুষের কাছে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এক অবিসংবাদিত ও অপরিহার্য নেতা হিসেবে।
ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কখনোই নিছক একটি ভৌগোলিক ফিরে আসার ঘটনা নয়। এটি বরং একটি জাতির রাজনৈতিক চরিত্র, শাসনব্যবস্থার দর্শন এবং নৈতিক দিশা নির্ধারণের এক গভীর পরীক্ষাক্ষণ। কোন নেতা কীভাবে দেশে ফেরেন, কোন পথ অনুসরণ করেন এবং প্রত্যাবর্তনের পর তিনি রাষ্ট্রকে কোন দিকে নিয়ে যেতে চান; এসব প্রশ্নের উত্তরই ঠিক করে দেয় একটি জাতির ভবিষ্যৎ গতিপথ।
বিশ্ব ইতিহাসে মহাত্মা গান্ধী, ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, ইমাম খোমেনি ও নেলসন ম্যান্ডেলার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়। প্রত্যাবর্তনের পথ ভিন্ন হলে রাষ্ট্র পরিচালনার দর্শনও ভিন্ন হয়। এই ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে, বিশেষত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে।
১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে মহাত্মা গান্ধী যে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছিলেন, তার ভিত্তি ছিল অহিংসা, নৈতিকতা ও সাংবিধানিক সংগ্রাম। তিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যেখানে ব্যক্তিগত ত্যাগই হয়ে উঠেছিল জাতীয় ঐক্যের প্রধান অনুপ্রেরণা। গান্ধীর প্রত্যাবর্তন দেখিয়েছে, নৈতিক শক্তি ও জনসম্পৃক্ততাই দীর্ঘমেয়াদে রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল করে।
১৯১৭ সালের ১৬ এপ্রিল দীর্ঘ নির্বাসনের পর লেনিন রাশিয়ায় ফিরে আসেন বিপ্লবী পথে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে। তার নেতৃত্বে আদর্শিক দৃঢ়তা থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রুল অব ল, বহুমতের রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক পরিসর সংকুচিত হতে থাকে। বিপ্লব রাষ্ট্রের কাঠামো বদলালেও নাগরিক স্বাধীনতার জায়গা ক্রমশ সীমিত হয়ে পড়ে।
ইরানের ইমাম খোমেনি কিংবা কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোর প্রত্যাবর্তনও ছিল একই ধারার। তারা বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে নিজেদের আদর্শকে শাসনব্যবস্থার কেন্দ্রে স্থাপন করেন। ফলশ্রুতিতে আইনের শাসন, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের চেয়ে আইডিওলজি বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদে এসব রাষ্ট্রে এক ধরনের ‘পার্পেচুয়াল এমারজেন্সি’ স্বাভাবিক শাসনে পরিণত হয়, যেখানে ভিন্নমত ও গণতান্ত্রিক চর্চা সীমাবদ্ধ থাকে।
এই প্রেক্ষাপটে নেলসন ম্যান্ডেলা ইতিহাসে ব্যতিক্রমী এক মডেল। ২৭ বছরের কারাবাস শেষে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি যখন জাতির সামনে ফিরে আসেন, তখন প্রতিশোধ নয় ন্যায়, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও পুনর্মিলনের দর্শনকেই তিনি রাজনীতির মূল ভিত্তি করেন। ‘রিভেঞ্জ নয়, রিকনসিলিয়েশন’ এই নীতির মধ্য দিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করে। ম্যান্ডেলা প্রমাণ করেছেন, প্রকৃত নেতৃত্ব মানে ক্ষমতার প্রতিশোধ নয়, বরং রাষ্ট্র ও সমাজকে সুস্থ পথে এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের নয় মাসের রণাঙ্গান জীবন ও তার বিজয়ী প্রত্যাবর্তন কেবল মুক্তিযুদ্ধের একটি অধ্যায় নয়, বরং বহুদলীয় গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রনায়কসুলভ রাজনীতির এক মৌলিক ভিত্তি। সম্মুখসমরে যুদ্ধ করে, জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার জন্য লড়াই শেষে তিনি দেশে ফিরেছিলেন বিজয়ের প্রতীক হয়ে; কিন্তু সেই বিজয় তিনি ব্যক্তিগত গৌরবে রূপ দেননি। বরং যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রকে কীভাবে পুনর্গঠন করা যায়, কীভাবে মানুষকে নিরাপত্তা, মর্যাদা ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এই চিন্তাই তার রাষ্ট্রনায়কসুলভ ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে। একদলীয় শাসনের গণ্ডি ভেঙে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত করা, প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে আইনের শাসন ও মতভিন্নতার সহাবস্থান নিশ্চিত করার প্রয়াস।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সবকিছুই ছিল রণাঙ্গান থেকে রাষ্ট্র পরিচালনায় উত্তরণের ধারাবাহিকতা। এই উত্তরাধিকারই পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাজনৈতিক অবস্থান এবং তারেক রহমানের নীতিনির্ভর, ইতিহাসসচেতন রাজনীতির ভিত গড়ে দেয়, যা আজ ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর দর্শনে প্রতিফলিত।
এই বৈশ্বিক অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের সমসাময়িক রাজনৈতিক বাস্তবতায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে। তার বক্তব্য ও রাজনৈতিক অবস্থানে রুল অব ল, আইনের শাসন, গণতন্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন নাগরিক সেবার একটি সুস্পষ্ট রূপরেখার কথা উঠে এসেছে। গণমাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারগুলোতে তিনি জাস্টিসের কথা বলেছেন, কিন্তু রিভেঞ্জের নয়। তার অবস্থান—বাংলাদেশের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান; যারা অপরাধী, তাদের বিচার হবে, তবে তা হতে হবে প্রতিহিংসামুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক।
ইতিহাস আমাদের শেখায়, প্রতিশোধের রাজনীতি রাষ্ট্রকে দুর্বল করে, আর ন্যায়ভিত্তিক সাংবিধানিক রাজনীতি রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে। এই জায়গাতেই নেলসন ম্যান্ডেলার মডেলের সঙ্গে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভাষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির তুলনা টানা হচ্ছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে বিরল উদাহরণ রয়েছে, যেখানে কোনো নেতা প্রায় সতেরো বছর দেশের বাইরে থেকেও নিজ দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও তারেক রহমান রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত পরিচিত ও আলোচিত নাম হয়ে উঠেছেন। তিনি কেবল বিএনপির নেতা হিসেবে নয়, বরং বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণি, এমনকি ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার মানুষের কাছেও একটি গ্রহণযোগ্য মুখ।
যারা দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ন্যারেটিভ তৈরি করে তাকে রাজনীতি থেকে ‘মাইনাস’ করার চেষ্টা করেছে, বাস্তবতার চাপে তারাও আজ তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আগামীর রাজনীতি কল্পনা করতে পারছে না। এই বাস্তবতা প্রমাণ করে—তিনি এখন কেবল একটি দলের নেতা নন, বরং বাংলাদেশের বহুমাত্রিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় একটি কেন্দ্রীয় চরিত্র।
২০০৭ সালের ওয়ান–ইলেভেন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গভীর ছাপ রেখে গেছে। সেই সময় থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মামলা, অপপ্রচার ও রাজনৈতিক চাপ শুরু হয়। তথাকথিত প্রগতিশীল পরিচয়ের কিছু অংশ, বুদ্ধিজীবী ও গণমাধ্যমের একাংশ, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক শক্তির একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে।
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রযন্ত্রের নানা স্তরে তার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রচারণা চালানো হয়েছে। লক্ষ্য ছিল একটাই—তাকে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। বরং প্রতিকূলতা তার নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করেছে এবং বহু মানুষের কাছে তাকে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
দীর্ঘ প্রবাসজীবনেও তারেক রহমান রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেননি। বরং তিনি এই সময়কে কাজে লাগিয়েছেন গভীর পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও আগামীর জন্য প্রস্তুতিতে। বিভিন্ন সেক্টরভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন, কর্মসূচির রূপরেখা, নথিপত্র প্রস্তুত এসবই তার দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ
এই নীতিনির্ভরতার ভিত্তি গড়ে উঠেছে তার তৃণমূল রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ওপর, যা শুরু হয়েছিল আশির দশকের শেষভাগে। মাঠপর্যায়ের রাজনীতি, সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবন এবং দীর্ঘ সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা তার চিন্তাকে বাস্তবতাভিত্তিক করেছে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করে নীতি প্রণয়ন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশ, দুর্নীতি দমন ও সুশাসন। প্রতিটি বিষয়ে দেশ–বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি লাইমলাইটের চেয়ে নীরব প্রস্তুতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
জুলাই–পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় তরুণ সমাজ নতুন করে রাজনীতির দিকে তাকাচ্ছে। তারা চায় কর্মসংস্থান, ন্যায়বিচার, বাকস্বাধীনতা, স্বচ্ছ নির্বাচন ও জবাবদিহিমূলক সরকার। তরুণদের কাছে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানে কেবল ক্ষমতার পালাবদল নয়; বরং রাজনীতির ভাষা ও সংস্কৃতির পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
শক্তিশালী ম্যান্ডেটের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তার বক্তব্য তরুণদের কাছে বাস্তববাদী রাজনীতির ইঙ্গিত দেয়। দুর্বল জনরায় নিয়ে বড় সংস্কার সম্ভব নয়। এই উপলব্ধি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক অবস্থানকেই নির্দেশ করে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক হিসেবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্থায়ী আসন পেয়েছেন। খালেদা জিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং ‘দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্বে রাজনীতিতে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও বিরোধী মতের সহাবস্থান—এসব গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার দায়িত্ব তার নেতৃত্বের ওপর বর্তায়। তরুণ সমাজ প্রত্যাশা করে, এই উত্তরাধিকার কেবল আবেগে নয়, বাস্তব নীতি ও শাসনব্যবস্থায় প্রতিফলিত হবে।
অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের দুর্বল জায়গা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষা—এসব ক্ষেত্রে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপই আস্থার সংকট কাটাতে পারে।
এই ধারাবাহিকতারই আধুনিক প্রকাশ তারেক রহমানের ১৯৭১ ও ২০২৪–কে একসূত্রে বিবেচনা করা। তার রাজনৈতিক বক্তব্য ও কর্মসূচিতে এই দুই সাল কোনো প্রতীকী সংখ্যা নয়; ১৯৭১ স্বাধীনতা, আত্মপরিচয় ও সার্বভৌমত্বের শিক্ষা দেয়, আর ২০২৪ স্মরণ করিয়ে দেয় গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচারের চলমান সংগ্রাম। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তার ঘোষিত কর্মসূচি—শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত এবং শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের খোঁজ নেওয়া। এই ইতিহাসচেতন রাজনীতিরই স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
অতীতের ত্যাগকে সম্মান জানানো এবং বর্তমানের আহত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই সমন্বয়ই ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগানের বাস্তব অর্থ বহন করে। এতে বোঝা যায়, তারেক রহমানের রাজনীতিতে ইতিহাস কেবল স্মৃতি নয়; বরং তা ন্যায়, মানবিকতা ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণের দিকনির্দেশনা।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন তাই কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়; এটি দায়িত্ব, প্রত্যাশা ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সন্ধিক্ষণ। তিনি যদি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেন, তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের অস্থিরতা কমে আসার বাস্তব সম্ভাবনা রয়েছে। নীতিনির্ভর, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতিই হতে পারে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার মূল চাবিকাঠি।
লেখক: সহ সাধারণ সম্পাদক, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।
দৃষ্টি আকর্ষণ: লেখাটি সম্পূর্ণই লেখকের ব্যক্তিগত মতামত।