০৫ মে ২০১৯, ১৯:৫৭

প্রতিটি বিভাগে চক্ষু শিক্ষা ইন্সটিটিউট আবশ্যক

মো. আশরাফ হোসাইন  © টিডিসি ফটো

সংশ্লিষ্টরা ধারণা করে থাকেন যে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি লোক দৃষ্টি সমস্যায় ভুগছেন। তাদের সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে স্বল্প চিকিৎসায় পূর্ণ দৃষ্টি ফিরে ফেতে পারেন। কিছু সংখ্যক নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। কিছু সংখ্যক স্বল্প চিকিৎসায় স্বাভাবিক দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন। তবে, চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সেবার স্বল্পতার কারণে ভুক্তভোগী মানুষগুলো সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলোকে আরো বিশেষায়িত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি যেসব স্থানগুলোতে এসবের সঙ্কট রয়েছে সেসব যায়গায় নতুন প্রতিষ্ঠান অতীব জরুরি।

এছাড়া দেশে পর্যাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকাতে প্রায় কোটি লোক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে জীবন যাপন করছেন। আজকের কোন স্বাধীন দেশে এটা অভিপ্রেত নয়। বাংলাদেশে বিগত পাঁচ দশকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ ঘটেছে। ঢাকা মহানগরে একটি মাত্র চক্ষু চিকিৎসক ইন্সটিটিউট রয়েছে। যা থেকে অতি অল্প সংখ্যক চক্ষু চিকিৎসকগণ প্রতিবছর শিক্ষা গ্রহণ করে বেরিয়ে আসছেন।

চক্ষু চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। সরকারকে এ বিষয়টি নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক বিভাগে একটি করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা শিক্ষার জন্য ইন্সটিটিউট স্থাপন ও পরিচালন জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহে চক্ষু চিকিৎসক শিক্ষক তৈরির জন্য চক্ষু চিকিৎসক প্রেরণ করে শিক্ষকগণের মান উন্নয়ন প্রয়োজন। এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশে চক্ষু বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পূর্ণ বা আংশিক বৃত্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে।

আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে চক্ষু চিকিৎসা শিক্ষা ইন্সটিটিউট স্থাপনের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারের সু-দৃষ্টির মাধ্যমে এটি সম্পন্ন হতে পারে। এছাড়া, যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বদিচ্ছায়ও সম্ভব হতে পারে।