‘রবীন্দ্রবিদ্বেষী’ হিসেবে আমাকে ট্যাগানোর ব্যাপক আয়োজন কেন?
কিছুদিন ধরে বিপুল পরিমাণ ফেসবুকার আমার এক বক্তৃতার ‘শিরোনাম’-এর সূত্র ধরে আমাকে ব্যাপক গালিগালাজ করেছেন। এখনো তার রেশ কাটেনি। ‘শিরোনাম’ কথাটা উদ্ধৃতিচিহ্নের মধ্যে দেবার কারণ পরে স্পষ্ট হবে।
আপনাদের কারো কারো মনে থাকতে পারে, মাস দুয়েক আগেও এরকম এক আয়োজন হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বাংলা একাডেমির রবীন্দ্রজয়ন্তীর সেমিনারে আমি শুধু রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বিষোদগারই করিনি, এ কাজে অন্যদেরও লাগিয়েছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েছিলেন অধ্যাপক বেগম আকতার কামাল। কিন্তু তাতে আমার নিন্দায় কোনো টান পড়েনি। প্রচারকারীদের দাপটে অস্থির হয়ে আমি রেকর্ডকৃত বক্তৃতা বারদুয়েক শুনলাম। দেখলাম সেখানে আমার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রবীন্দ্রনাথ যে ‘একস্ট্রা-অর্ডিনারি সাহিত্যিক ও দার্শনিক’ সে কথা কয়েকবার বলেছি। কিছু পর্যালোচনাধর্মী বিশ্লেষণ আছে; কিন্তু নিন্দার কিছু আবিষ্কার করতে পারলাম না। যেহেতু নিন্দুকরা মিথ্যা প্রচার করেছেন, সেহেতু আমি প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদের প্রয়োজন বোধ করিনি। এ বিষয়ে মাথা না ঘামানোর অপর কারণ, নিন্দাকারীর দলের বড় অংশই ছিল আমার অচেনা।
তবে এবারের কথা আলাদা। এবার যারা মাঠ গরম করে ফাটিয়ে ফেলেছেন, তাদের একটা বড় অংশ আমার পরিচিতই কেবল নয়, ঢাকার সাহিত্যাঙ্গনের কামেল ব্যক্তিও বটে। অনেকে আমার বন্ধু। অনেকে বন্ধু না হলেও দীর্ঘদিনের পরিচিত, যাদের সাথে একত্রে আমি দশকের পর দশক ‘শিল্প-সাহিত্য ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা’ করেছি। অন্য অনেকে উদ্বেগের সাথে ব্যাপারটা সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। অনুমান করি, আন্তরিকভাবে জানতে চান, অথচ আমাকে মওকামতো জিজ্ঞাসা করার সুযোগ পান নাই, এমন অনেকেও আছেন। কাজেই আমার দিক থেকে একটা ছোট ভাষ্য থাকা দরকার মনে করছি।
সমাজতান্ত্রিক বুদ্ধিজীবী সংঘ গত ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার সৈয়দ আবুল কালাম প্রণীত ‘রাজনীতির রবীন্দ্রনাথ’ বই নিয়ে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে আলোচনার আয়োজন করেছিল। এখানে দেয়া আমার বক্তৃতার প্রথমাংশ রেকর্ড করে আপলোড করেছিল MSI KHAN নামের একটি চ্যানেল। এ ইউটিউব চ্যানেল যারা চালায়, তারা আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত। আমার আরো বহু বক্তৃতা তারা আগে আপলোড করেছে। দর্শকের মনোযোগ বাড়ানোর অংশ হিসাবে তারা কিছু বাক্যকে হাইলাইট করে থাকে। একটা দৃষ্টি-আকর্ষক শিরোনাম দেবার চেষ্টা করে। অনেক সময়েই শিরোনাম আর হাইলাইটস মূল বক্তব্যের মর্মবস্তুর অনুকূল হয় না। আমি এ বিষয়ে তাদের কখনো কিছু বলিনি, প্রধানত তাদের কাজের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার চিন্তা থেকে। কিন্তু এবারের বক্তৃতা আপলোড করার ক্ষেত্রে তারা একটা বড় বিপর্যয় ঘটিয়েছে। এমন এক বাক্য হাইলাইট করে শিরোনাম করেছে, যা ওই বইয়ের লেখকের বক্তব্য। আমি আসলে ওই বক্তব্যের ক্রিটিক করেছি আমার বক্তৃতায়। বলেছি, এভাবে বলা যায় না। শব্দচয়ন ঠিক হয় নাই। ইত্যাদি। আসলে আমি প্রধানত পদ্ধতিগত ও জ্ঞানতাত্ত্বিক সমালোচনা করেছি। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে যদি কেবল এ তিন-চার বাক্যেও সীমিত থাকি, তবু বলতে হবে, চ্যানেলওয়ালারা হয় বড় ধরনের ভুল করেছে, অথবা ইচ্ছাকৃত বিপর্যয় ঘটিয়েছে। ধারণা করি, ভিউ বাড়ানোর উদগ্র বাসনাবশতই তারা কাজটি করেছে–ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করেনি।
এই বাক্যকে–যা আমার নয়, আলোচ্য গ্রন্থের; এবং আমি এর ক্রিটিক করেছি–পুঁজি করে নিন্দুকের দল মাঠে নেমেছে। তারা বক্তৃতাটা শোনার প্রয়োজনও বোধ করে নাই। বক্তৃতার প্রথমাংশ কেবল আপলোড করা হয়েছিল। মাত্র ২৬/২৭ মিনিট। আমি জানি, আমার বক্তৃতা খুব শ্রবণ-সুখকর নয়। এজন্য আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলো নিজে শেয়ার করি না। কিন্তু আপনি যখন একটা বক্তৃতার ‘শিরোনাম’ দেখে একজনের চোদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করবেন, তখন আপনার প্রাথমিক দায়িত্ব সেটা শুনে দেখা। লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, সে দায়িত্ব বেশিরভাগই পালন করেননি। বক্তৃতাটা ওই শিরোনামেই চ্যানেলে ছিল। পরে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে পরিচালনাকারীরা হাইলাইটস এবং শিরোনাম পালটে অবিকল আপলোড করেছে। মানে এখনো চ্যানেলে আছে। কেউ কেউ প্রচার করেছেন, বক্তৃতা সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সে কথা ঠিক নয়।
তাদের দেয়া শিরোনামটি ছিল এরকম: ‘রবীন্দ্র সাহিত্যের সার কথা জনগণের বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত নয়।’ আমি আসলে বই থেকে এ কথা উদ্ধৃত করেছি। বলেছি, এ বিষয়ে আমার ভিন্নমত আছে। ভিন্নমত কী এবং কতটা তা নিয়ে মতপার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু নিন্দুকের দল, এমনকি যারা নিন্দা না করে জ্ঞান ফলানোর জন্য পোস্ট দিয়েছেন তারাও, অতটুকু যাওয়ার দম দেখাতে পারে নাই। বইয়ের কথাটাকেই আমার কথা হিসাবে চালিয়ে দিয়ে গালিগালাজের তুফান বইয়ে দিয়েছে।
ওই বক্তৃতায়–এবং আরো অনেক লেখা ও বক্তৃতায়–আমি বলেছি, রবীন্দ্রনাথ দুনিয়ার সেরা লিবারেল সাহিত্যিকদের একজন। মনে রাখতে হবে, দুনিয়ার সেরা সাহিত্যিকদের খুব বড় অংশ লিবারেল তথা উদারনৈতিক মানবতাবাদী। কাজেই যদি বলা হয়, রবীন্দ্রনাথ লিবারেল সাহিত্যিকদের মধ্যে সেরাদের একজন, তাহলে আসলে বলা হয়, তিনি দুনিয়ার সেরা সাহিত্যিকদের একজন। কারণ, এর বাইরে অন্য বর্গভুক্ত ‘বড়’ সাহিত্যিকের সংখ্যা হাতেগোনা। এখানে ‘লিবারেল’ কথাটা আমাকে যোগ করতে হয়েছে কোনো সংকীর্ণতা আরোপের জন্য নয়, আলাপের সূত্রে; যেখানে বলা হবে, লিবারেলরা সংজ্ঞাগতভাবেই বিপ্লববিরোধী। এটা রবীন্দ্রনাথের বহু মত ও অবস্থানকে দার্শনিকভাবে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে এবং অপ্রয়োজনীয় বিরোধিতা এড়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে বিশ্লেষণমূলক সুবিধা দেবে। আমি আমার বক্তৃতায় উদাহরণ হিসাবে কাজী আবদুল ওদুদের কথা বলেছি স্রেফ আমার নিজের একটা লেখার সূত্র ব্যবহারের সুবিধার জন্য। এটা যেকোনো লিবারেলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য যে, তারা বিপ্লব তথা রাতারাতি আমূল পরিবর্তন নয়, বরং অভিযোজনের মধ্য দিয়ে সমাজ-পরিবর্তনের কথা বলবেন। এটা একটা রাজনৈতিক-দার্শনিক অবস্থান। গত অন্তত চারশ বছর ধরে দুনিয়ার ‘মূলস্রোত’ এ অবস্থানের ভিত্তিতেই কাজ করছে–দর্শন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও শিল্পসাহিত্য করছে।
এখন আপনি এ অবস্থানকে ‘সমস্যামূলক’ মনে করেন কি না, তা আপনার দার্শনিক-রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি – বহুবার বলেছি আর লিখেছিও সে কথা–পরিকল্পিত বিপ্লব অসম্ভব এবং ক্ষতিকর। তবে জনগোষ্ঠীর স্বতঃস্ফূর্ত অভিব্যক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মতো ঘটনা ঘটেও যেতে পারে, যেমনটা দুনিয়ার কোনো কোনো জায়গায় ঘটেছে।
তাহলে আমি ‘রাজনীতির রবীন্দ্রনাথ’ বইয়ের পূর্বোক্ত বক্তব্যের সমালোচনা করেছি কেন? করেছি শব্দ ব্যবহারের অসঙ্গতির কারণে। আপনি যদি ‘জনগণের বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত নয়’ বলেন, তাহলে দার্শনিকভাবে বিপ্লব সম্পর্কে অবস্থান প্রকাশিত হবে না; জনবিরোধী অবস্থান প্রকাশিত হবে। গত দেড়শ বছর ধরে গরিব ও নিপীড়িত মানুষদের পক্ষে সবচেয়ে বেশি কথা বলা হয়েছে মার্কসীয় ডিসকোর্সে; কিন্তু লিবারেল ডিসকোর্সেও এ ধরনের পক্ষপাতের অসংখ্য উপায় আছে। লিবারেল ডিসকোর্স জনবিরোধী নয়–সেখানে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা মাত্র। ‘জনগণের বিদ্রোহ ন্যায়সঙ্গত নয়’ কথাগুলো ওই আলাদা দৃষ্টিভঙ্গির কোনো অবকাশ দেয় না। সেজন্য এ কথাগুলোর সমালোচনা করতে হয়েছে।
বক্তৃতার পরের অংশে আমি মূলত এ বইয়ের উক্ত পদ্ধতিগত সংকট নিয়ে আলাপ করেছি। বলেছি, মার্কসীয় প্যারাডাইম থেকে লিবারেল প্যারাডাইম পাঠ – পদ্ধতি হিসাবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। তাছাড়া গত পঞ্চাশ বছর ধরে দুনিয়াজুড়ে এবং বাংলাভাষী অঞ্চলেও নিওলেফট ঘরানায় এসব ব্যাপার আলোচনা করার যেসব অসামান্য পদ্ধতি ও জ্ঞানতত্ত্ব বিকশিত হয়েছে, এ বইয়ে সেগুলো অনুসৃত হয়নি। হলে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ভিন্নসব সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যেত।
এ আলোচনা থেকে কেউ যে আমাকে ‘রবীন্দ্রবিদ্বেষী’ হিসাবে আবিষ্কার করতে পারে, তা আমার দূরবর্তী কল্পনাতেও ছিল না। আমরা সত্যি সত্যি এক সুররিয়ালিস্টিক জগতে বসবাস করছি।
নিন্দুকদের একাংশ সরাসরি রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে আলাপ করে থাকে। এদের সম্পর্কে কিছু বলা বা ভাবা অর্থহীন। অপর একাংশ মনে করে, বাংলা একাডেমির ডিজি পদটি একটা বিরাট ব্যাপার; আর আমি পদ টিকিয়ে রাখার জন্য ‘রবীন্দ্রবিরোধিতা’য় নেমেছি। এরা যেহেতু খুব ‘ছোট’, এদের সম্পর্কে কিছু বলারও কোনো মানে হয় না। কিন্তু ঢাকার সাহিত্যসমাজের একাংশ এ প্রচারণায় শামিল হয়ে ভীষণ সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না।
আমার প্রথম উল্লেখযোগ্য লেখা ছাপা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে, চঞ্চল আশরাফ সম্পাদিত ‘কিছুধ্বনি’ পত্রিকার জীবনানন্দ সংখ্যায়। তখন থেকে পুরো তিন দশক ধরে আমি ঢাকার সাহিত্য-সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় সক্রিয় আছি। কোনো গোপন এলাকায় নয়–আমার লেখাপত্র ছাপা হয়েছে প্রধান সব পত্রিকায়, প্রায়শই এক লেখা কয়েকবার ছাপা হয়েছে, এবং বেশিরভাগ লেখাই অনলাইনে পুনর্মুদ্রিত হয়েছে। অনলাইন-অফলাইন মিলিয়ে আমি সম্ভবত গত দেড় দশক ধরে সবচেয়ে বেশি সাহিত্য-সংস্কৃতি-বুদ্ধিবৃত্তিক সভায় বক্তৃতা দিয়েছি। তার একটা বড় অংশ অনলাইনে পাওয়া যায়। আমি মোটেই এগুলোর গুণগত উৎকর্ষ দাবি করছি না। কিন্তু এরকম একজন প্রকাশ্য লোককে একটা ‘ভুল’ শিরোনামের অজুহাতে ট্যাগানোর ভয়াবহ আয়োজন কোন ধরনের সংস্কৃতি প্রকাশ করে? হিংসা, ঈর্ষা ও বিদ্বেষ কি এত অল্পতেই উদাম হয়ে যায়?
আমি আসলে এখানে কথাগুলো উল্লেখ করলাম রবীন্দ্রচর্চা এবং সামগ্রিক সাহিত্য-সংস্কৃতিচর্চার একটা ভয়াবহ অবস্থা আবিষ্কার করে। রবীন্দ্র-রাজনীতির বাইপোলার একটা অবস্থার মধ্যেই আমি বহু বছর ধরে রবীন্দ্রচর্চা করছি। লিখেছি, বলেছি, পড়িয়েছি। দেশের রবীন্দ্রচর্চার প্রধান কেন্দ্রগুলোতেই। আমার প্রথম বই ‘বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বরীন্দ্রনাথ’-এ রবীন্দ্রনাথকে বাংলা ভাষার বি-উপনিবেশায়নের আজতক প্রধান কর্তা হিসাবে বিশ্লেষণ করেছি। যারা ‘বি-উপনিবেশায়ন’ কথাটার ওজন জানেন, তারা এর মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পারবেন। দ্বিতীয় বই ‘বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার’-এরও প্রধান চরিত্র রবীন্দ্রনাথ। ‘কবি ও কবিতার সন্ধানে’ বইয়ের একটা চ্যাপ্টার শুধু নয়, দীর্ঘ ভূমিকার কাব্যতত্ত্ব বিষয়ক আলোচনার প্রায় প্রধান ভিত্তি রবীন্দ্রনাথ। গোটা দশেক দীর্ঘ প্রবন্ধ ছাড়াও লিখেছি বেশ কিছু প্রবন্ধ। এগুলোর প্রায় সবই প্রকাশিত হয়েছে দেশের প্রধান পত্রপত্রিকায়। বহুবার পুনর্মুদ্রণ হয়েছে ঢাকায় ও কলকাতায়। প্রায় সব লেখাই অনলাইনে পাওয়া যায়। এ ধরনের একজন ব্যক্তিকে নির্দ্বিধায় ‘রবীন্দ্রবিদ্বেষী’ হিসাবে প্রচার করতে পারে যে রবীন্দ্রচর্চা ও সাহিত্যচর্চার সংস্কৃতি, তার রোগ আসলে অনেক গভীর ও প্রগাঢ়। আমি এ কৈফিয়তনামা প্রকাশ করলাম প্রধানত এ রোগের প্রতি আগ্রহীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য।
তবে, বহুজন ফেসবুকে এবং সরাসরি উদ্বেগের সাথে জানতে চেয়েছেন, ঘটনাটা আসলে কী? এ লেখা তাদের জন্যও বটে। তাদের জন্য এবং অন্য সকলের জন্যও। ভালোবাসা আর শুভকামনা।
মোহাম্মদ আজম: মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি