‘গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না শুধু বিএনপির কারণে’
ছাত্ররা চাইল, চুপ্পুকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। এমনকি বিজয় দিবসে তারা চুপ্পুর দাওয়াতেও যায় নাই। কিন্তু, নানারকম ওকালতি দেখিয়ে কারা হাসিনার কর্মীটাকে বঙ্গভবন রেখে দিয়েছিলো? উত্তর-বিএনপি।
ছাত্ররা চাইল, মুক্তিযুদ্ধের লাখ লাখ মানুষের রক্তের সাথে বেঈমানি করা, জাতিগত বিভাজনের হাতিয়ার, সবাইকে দূরে সরিয়ে মুজিবের একার করা সংবিধান থাকবে না। নতুন সংবিধান লাগবে। নতুন রিপাবলিকের শুরু করতে হবে। পুরানো আওয়ামী চেতনার বয়ান দিয়ে কারা সংবিধান ধরে রাখলো? উত্তর-বিএনপি।
ছাত্ররা দাবি করল, জুলাই প্রোক্লেমেশন। শুরু থেকেই বাগড়া দিচ্ছে বিএনপি। ছাত্ররা চাইল, সবাইকে নিয়ে একটা বৃহৎ জাতীয় ঐক্য'র মাধ্যমে প্রোক্লেমেশন ঘোষিত হোক। ৩১ ডিসেম্বর এজন্য ছাত্ররা প্রোক্লেমেশন দিল না।
সব দল, মত যাতে তাদের কথা বলতে পারে সেজন্য ধৈর্য ধরল। আর, প্রধান উপদেষ্টার ডাকে যখন সকল দল যাচ্ছে, তখন এই জাতীয় ঐক্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছে বিএনপি।
আরো পড়ুন: রাজনৈতিক খেয়ানত
২০০০ মানুষের জানবাজি রেখে যে গণঅভ্যুত্থান হল, সেই গণঅভ্যুত্থানের পরে যেমন র্যাডিক্যাল চেইঞ্জ মানুষ চাচ্ছে। তার প্রত্যেকটির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। তারা ক্ষমতার গন্ধে মাতোয়ারা, কিন্তু এই ভূখণ্ডের দীর্ঘস্থায়ী মুক্তির দিকে তাদের কোনো ভ্রূক্ষেপ নাই। গণঅভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না শুধু্ বিএনপির কারণেই।