১২ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৬

ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন: ভারতীয় উপমহাদেশে সম্ভাব্য প্রভাব

ক্যাপ্টেন: তাওহীদ বিন শফি (অব.)  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, যা ভারতীয় উপমহাদেশেও প্রভাব বিস্তার করবে। ট্রাম্প প্রশাসনের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকার, বিশেষ করে চীন বিরোধী অবস্থান, ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের দেশগুলির জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। 

১. ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছিল, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা এবং বাণিজ্য খাতে। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ট্রাম্পের কৌশলগত নীতিগুলি ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাকে উৎসাহিত করবেন । পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ফলে ট্রাম্প প্রশাসন এই সম্পর্ককে আরো মজবুত করার চেষ্টা করবে, যা চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে ভারতের জন্য সুবিধাজনক হবে।

২. পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক
অতীতে ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে মিশ্র অবস্থান গ্রহণ করেছিল। একদিকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে, অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদ দমন এবং সামরিক সহায়তার বিষয়গুলোতে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। পুনঃনির্বাচনের পর, আফগানিস্তান পরিস্থিতি এবং চীন-পাকিস্তান সম্পর্কের কারণে এই নীতিগুলো আরও কঠোর বা নমনীয় হতে পারে।

৩. অর্থনৈতিক প্রভাব
বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের "আমেরিকা ফার্স্ট" নীতি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলির জন্য মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি এবং শুল্ক কাঠামোতে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা থাকবে, যা রপ্তানি খাতে ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. অভিবাসন নীতি
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি কঠোর হওয়ার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবাসী কর্মীদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুনঃনির্বাচনের পর এই নীতিগুলি অব্যাহত থাকলে অভিবাসনের সুযোগ সীমিত হতে পারে, যা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।