ব্যাপারটা সামনে আনলাম আমি, আমাকে বানিয়ে দিলেন ‘জনৈক ব্যক্তি’!

সাইয়েদ আবদুল্লাহ ও ইফতেখার রাফসান
সাইয়েদ আবদুল্লাহ ও ইফতেখার রাফসান  © সংগৃহীত

বেশকিছু মিডিয়ায় দেখলাম নিউজটা অনেকটা এভাবে লেখা হচ্ছে যে— জনৈক এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে রাফসানের পরিবারের ঋণখেলাপি ইস্যু সামনে এনেছে। তারপর আবার রাফসানের ভিডিও বক্তব্যের অংশটা নিয়ে আলোচনা আছে সেসব জায়গায়। কিন্তু ওই ৫ মিনিটের ভিডিওর প্রায় পুরোটাই ছিল ভুলভাল তথ্যে ভরা।

এরপর তার ভুলভাল ব্যাখ্যাকে কাউন্টার করে একদম পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ওই ‘জনৈক’ ব্যক্তি যে পরে দেখিয়ে দিয়ে ভিডিও আপলোড করলো, সেই ফলোআপ তাদের নিউজে অনুপস্থিত।

ওইসব মিডিয়ার উদ্দেশ্য বলবো— ইনভেস্টিগেশন করলাম আমি, পুরো ব্যাপারটা সামনে আনলাম আমি, তার ভুলে ভরা জাস্টিফিকেশন ভিডিওকে কাউন্টার করে ভিডিও বানিয়ে সবাইকে ধরে ধরে বুঝিয়ে দিলাম আমি, আর আপনারা আমার কাজ এবং তদন্তকে কেন্দ্র করে এখন নিউজ করছেন, ভিডিও বানাচ্ছেন। কিন্তু আমার নামটাই লুকিয়ে ফেলে কত্ত সুন্দর করে ‘জনৈক ব্যক্তি’ বানিয়ে দিয়েছেন! ভাইরে, আমার তো একটা নাম আছে, নাকি?

আমার ক্রেডিট লুকিয়ে ভাবখানা এমন দেখাচ্ছেন যেন সবকিছু বাতাস থেকে পেয়েছেন। এই নিউজগুলোর ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব থেকে তো ঠিকই টাকাও ইনকাম করছেন আপনারা। অথচ যে কষ্ট করে ইনভেস্টিগেট করে সবকিছু বের করলো, আপনাদের রিপোর্টের ভেতর তাকে সামান্য ক্রেডিটও দিতে পারছেন না?

পাবলিক মানি ঋণখেলাপি করার মত এই জনগুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর ইনভেস্টিগেশন করার দায়িত্ব তো ছিলো আপনাদের মিডিয়াগুলোর। আপনারা সেটা করেন নাই জন্যই তো আমার মত মানুষের ব্যক্তিগত উদ্যোগে 'সিটিজেন জার্নালিজম'-এর পদক্ষেপ নিয়ে ভলান্টারি কাজ করতে হচ্ছে দেশের স্বার্থে।

যেই তদন্ত করার দায়িত্ব ছিল আপনাদের, সেটা তো করেননি ঠিকমতো, যিনি এই কাজ ভলান্টারি বেসিসে করেছে, তাকে ন্যূনতম ক্রেডিটটুকু পর্যন্ত না দিয়ে প্রচার করছেন 'জনৈক ব্যক্তি' হিসাবে! ব্যাপারটা কি একটু অন্যরকম হয়ে গেলো না? মূলধারার মিডিয়াগুলোর ওপর মানুষের আস্থার জায়গাটা হয়ত দিন দিন কমছে এজন্যই।

সাবেক শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ