বৈরী আবহাওয়ায় শিক্ষা চালু রাখতে সহায়ক হতে পারে এলএমএস জিরো
আবহমান কাল থেকে মুখস্থ নির্ভর যে শিক্ষা পদ্ধতিতে আমরা অভ্যস্ত তা থেকে বের হতে চাই না। অনেকে মনে করেন অনলাইন ব্লেন্ডেড শিক্ষা কোন শিক্ষা নয়, এটি জুম বা গুগল মিটে সব শিক্ষার্থীকে জড়ো করে সময় অপচয়। আসলে এটাকে বলে রিমোট লার্নিং। অনলাইন ব্লেন্ডেড শিক্ষা মূলতঃ ফ্লেক্সিবল। আগে থেকে শিক্ষক তার কন্টেন্ট, মূল্যায়ন পদ্ধতি, আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সুন্দরভাবে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এ শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে সাজিয়ে রাখেন।
শিক্ষক প্রয়োজন মনে করলে লাইভ ক্লাস করাতে পারেন। ৪০°সে এর অধিক তাপমাত্রায় শিক্ষার্থীদের লাইভ ক্লাসে (অনলাইন বা অফলাইন) না এনে কন্টেন্টগুলো ছোট ছোট মজার ভিডিও আকারে এলএমএস এ লিঙ্ক করে দেওয়া যায়। পরবর্তীতে সুবিধামতো সময়ে সেটা লাইভ ক্লাসে বিস্তারিত আলোচনা, প্রশ্নোত্তর, বা দলীয় প্রকল্পের মাধ্যমে আরো সুন্দরভাবে শেখানো যায়। মূল লক্ষ্য নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখা- এক্ষেত্রে সমস্যা অনলাইন ব্লেন্ডেড শিক্ষার নয়, আমাদের মানসিকতার।
২০১২-১৮ সালে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে আমি বিশ্বের অনেক নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানভাস, ব্ল্যাকবোর্ড, মুডলসহ বিভিন্ন লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) এর কার্যকারিতা অন্বেষণ করেছি। তার মধ্যে ছিল হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি আমেরিকা, আথাবাস্কা ইউনিভার্সিটি কানাডা, মোনাশ ইউনিভার্সিটি এবং ওপেন ইউনিভার্সিটিস অস্ট্রেলিয়া, ম্যাসি ইউনিভার্সিটি নিউজিল্যান্ড ও ওপেন ইউনিভার্সিটি ইংল্যান্ড। মানসম্পন্ন শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এলএমএস ছিল তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ, ঠিক কাগজ ও কলমের মতো – যা ছিল কোভিড-১৯ এর আগের ঘটনা।
সার্বিকভাবে এলএমএস হল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ডকুমেন্টেশন, ট্র্যাকিং, রিপোর্টিং, অটোমেশন এবং শিক্ষামূলক কোর্স বা প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামের জন্য একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। এটি মানসম্পন্ন শিক্ষার একটি হাতিয়ার যা গত ২০-২৫ বছর ধরে ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচলিত ক্লাসের সাথে ব্যবহৃত হয়। এলএমএস যেকোনো ধরনের শিক্ষাকে সমর্থন করে এবং অনলাইন শিক্ষার সাথে এর বিশেষ কোনো সম্পর্ক নেই। উদাহরণস্বরূপ, করোনার আগে আমরা প্রচলিত শিক্ষায় বেশিরভাগই ক্লাস পরিচালনা করেছি, তারপরে করোনাকালীন সময়ে অনলাইন শিক্ষা চালু করেছি এবং পরে আবার প্রচলিত শিক্ষায় ফিরে গিয়েছি– তিনটি ক্ষেত্রেই আমরা এলএমএসকে নিরবচ্ছিন্ন পরিবর্তনের জন্য একটি কমন প্ল্যাটফর্ম হিসাবে রেখেই কাজ করেছি।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের কোন একদিন প্রফেসর লিজ জনসনের সাথে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির করিডোর দিয়ে হাঁটার সময় পরবর্তী প্রজন্মের লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নিয়ে তার সাথে চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছিলাম। একজন তরুণ উৎসাহী স্নাতক হিসাবে আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি কীভাবে শিক্ষায় প্রয়োগ করা যায়, তা নিয়ে অধিক আগ্রহী ছিলাম।
তারপরে তিনি আমাকে সাশ্রয়ী, লার্নিং এনালিটিক্স, সাপোর্ট স্টাফ, প্রাসঙ্গিক সমস্যা এবং আরও অনেক কিছুর সমন্বয়ে একটি সহজ সমাধান চিন্তা করার পরামর্শ দেন। তিনি আরও যোগ করেছিলেন যে, উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্লেন্ডেড এবং অনলাইন শিক্ষার উপর বিশাল আর্থিক ও জনশক্তি বিনিয়োগ করে এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে স্থিতিশীল এলএমএস সক্রিয় থাকে সবসময়।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও হয়তো মুডল, ক্যানভাস, ব্লাকবোর্ডের মতো এলএমএস ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক (এইচএসপিই) পর্যায়ে কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ ধরণের সিস্টেম ব্যবহার করা অনেকটা অসম্ভব। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটে ব্লেন্ডেড, অনলাইন এবং ডিজিটাল শিক্ষায় ব্যাপক গবেষণার উপর ভিত্তি করে একদল শিক্ষার্থী নিয়ে আমরা এলএমএস জিরো নামে একটি প্রকল্প তৈরি করি- জিরো (সেটআপ এবং পুনরাবৃত্তিক) খরচ, জিরো জটিলতা, জিরো রক্ষণাবেক্ষণ।
এটি এপিআই ভিত্তিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের একীকরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যার কোনো হোস্টিং সার্ভিস প্রয়োজন নেই। এই প্রকল্পটি প্রচলিত, অনলাইন বা ব্লেন্ডেড শিক্ষার ক্ষেত্রে সমানভাবে কার্যকর।
এখন যদি আমরা প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং সমর্থন পাই, তাহলে প্রকল্পটি এক বছরের মধ্যে দেশের সকল স্কুল ও কলেজের ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করা যাবে, ফলে যেকোনো দুর্যোগে পড়াশোনা চলমান থাকবে, কোন প্রাণহানির শঙ্কা থাকবে না।
কোভিড-১৯ কে শেষ মহামারি হিসাবে বিবেচনা করা উচিত হবে না, এখন সারাদেশ তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত। উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং প্রতিটি শিক্ষার্থীর ডিভাইসের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করার পরিবর্তে যা আছে তা পুঁজি করে আমাদেরকে যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখা উচিত। গত এক দশকে এলএমএস সারা বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তেমনটি হয়নি। আসুন মূল কারণগুলো একটু খতিয়ে দেখিঃ
আমাদের শিক্ষকদের ব্লেন্ডেড, অনলাইন এবং ডিজিটাল লার্নিং বিষয়ে ইতিবাচক মানসিকতা নেই, তাই এলএমএস এর সাথে তারা অভ্যস্ত নয়। মহামারি প্রমাণ করেছে যে, এই ধরনের লার্নিং শিক্ষার জন্য নতুন স্বাভাবিক। প্রায়শই আমরা আমাদের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতাগুলোকে অনলাইন এবং ব্লেন্ডেড শিক্ষার উপর চাপিয়ে দিই, যেটা একেবারে অনুচিত। প্রতিটি এলএমএস সিস্টেমের জন্য সেটআপ এবং পুনরাবৃত্তিক খরচ প্রয়োজন, উদাহরণস্বরূপ ক্যানভাস এলএমএস ব্যবহার করার জন্য প্রতি বছর ছাত্র প্রতি $২৫ খরচ হয়। মুডল এলএমএস হোস্টিং পরিষেবা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অনেক অর্থ এবং জনশক্তি প্রয়োজন হয় যা আমরা খরচ করতে চাই না।
এমনকি একটি এলএমএস সিস্টেম স্থাপন করার পরে যদি সার্ভারের সামান্য ডাউনটাইম দেখি, তবে আমরা সিস্টেমটিকে চিরতরে খারাপ হিসাবে চিহ্নিত করি, যদিও সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের কাছে যথেষ্ট সাপোর্ট স্টাফ থাকে না বললেই চলে। বেশিরভাগ উচ্চ-ফিচারসম্পন্ন এলএমএস ব্যবহার করা এত সহজ নয়, বিশেষ করে সিনিয়র এবং নন-আইটির শিক্ষকদের জন্য।
এগুলো অনেক গবেষণা দ্বারা সমর্থিত, যেখানে দেখা গেছে যে অপারেশনাল খরচ, সাপোর্ট এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, ব্যবহারের জটিলতা, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এলএমএস স্থাপন এবং ব্যবহার না করার মূল কারণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এলএমএস বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষ লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন, সেখানে দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে এই ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়নের কথা ভাবা অনেকটাই অযৌক্তিক এবং কল্পনাপ্রসূত মনে হতে পারে– তবে এলএমএস জিরো সেটাকে সম্ভব করতে পারে।
এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে প্রতিটি অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি ডিজিটাল শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এটি গুগল প্ল্যাটফর্মে এপিআই ভিত্তিক একটি এলএমএস সমাধান যাতে রয়েছে (i)শিখন-শিক্ষন, (ii) মূল্যায়ন, (iii) শেখার বিশ্লেষণ, (iv) গ্রেডিং এবং রিপোর্টিং, (v) ইন্টারেক্টিভ ভিডিও তৈরি, (vi) বিষয়বস্তু সম্পর্কিত রিপোজিটরি, (vii) মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং আরও অনেক কিছু। এ সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এবং যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে এক্সেস করা যাবে। অন্যান্য বিদ্যমান সিস্টেমের মতো নয় এটি, এক জায়গায় স্কুল বা কলেজের জন্য একটি সমন্বিত ডিজিটাল সমাধান হিসাবে কাজ করবে। এই পদ্ধতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বনির্ভর এবং নিরবচ্ছিন্ন হতে সক্ষম করবে।
এই বিশেষ প্রকল্পটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনেক সমস্যার সমাধান পূর্বক নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোসহ একটি স্থিতিশীল এবং পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাব করছে: (i) কোনো সার্ভার বা হোস্টিং পরিষেবার প্রয়োজন নেই; (ii) কোন মাসিক, বার্ষিক বা প্রাথমিক সেটআপ খরচ নেই; (iii) প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের সাথে সহজে ইন্টিগ্রেট করা যাবে; (iv) বিল্ট-ইন রেজাল্ট প্রসেসিং সিস্টেম এবং বিশ্লেষণ থাকবে; (v) সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল এবং ড্রাইভ স্পেস থাকবে; (vi) সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম; (vii) যে কোনো সময়, যেকোনো জায়গায় মোবাইল ডিভাইসে অ্যাক্সেসযোগ্য; (viii) তেমন কোন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন নেই; এবং (ix) একেবারে ন্যূনতম প্রশিক্ষণ যথেষ্ট। এই প্রকল্পটি প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে (প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে। স্কুল বা কলেজে সিস্টেমটি নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ন্যূনতম একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে, না থাকলেও সেটা দ্রুত তৈরি করা যাবে।
গত পনেরো বছরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের ফলে সারা দেশে, প্রায় প্রতিটি সেক্টরের পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল আইসিটি অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) এখন ফাইবার অপটিক্যাল তারের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হচ্ছে, স্কুলগুলো এখন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব দিয়ে সজ্জিত, হাজার হাজার ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট এবং ই-বুক ডিজাইন ও ডেভেলপ করা হয়েছে, ইত্যাদি।
এভাবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের দেশে সবার জন্যে এলএমএস, সবার জন্যে অনলাইন ব্লেন্ডেড শিক্ষা চালু করার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছে। এখন সকল স্তরের মানুষ এর গুরুত্ব অনুভব করেছে এবং আমাদের এটিকে পুঁজি করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। যদি অনলাইন ব্লেন্ডেড শিক্ষা যথাযথভাবে আমরা বুঝতে পারতাম, তাহলে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করতে হতো না, দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষার্থীরা হতাশ বোধ করতো না বা তীব্র তাপদাহে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতো না।
এলএমএস জিরো প্রজেক্ট সহজ, ইনোভেটিভ, বাস্তবায়নযোগ্য, টেকসই, স্ক্যালেবল, এবং ইম্প্যাক্টফুল। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সম-অধিকার ভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার পথ প্রশস্ত করতে পারে এবং আজীবন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। একটি মজার বিষয় হলো যে বাংলাদেশে প্রান্তিক ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪.৮ শতাংশের কাছে টিভি আছে, কিন্তু ৮.৩ শতাংশের কাছে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে। আইটিইউ গিগা বা টেসলা স্টারলিঙ্ক প্রকল্প পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায় নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন আনতে পারে।
যাইহোক, ইন্টারনেট ক্রমবর্ধমানভাবে সকল স্তরের মানুষের কাছে সহজলভ্য এবং সস্তা হয়ে উঠছে। এলএমএস জিরো বাংলাদেশের নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম সমর্থন করবে এবং যদি লাইব্রেরি থেকে ধার নেওয়ার ভিত্তিতেও এটি গুগল ক্রোমবুকের সাথে একীভূত করা যায়, তাহলে প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল শিক্ষার জন্য অন্যতম সেরা সমাধান হিসাবে পরিগণিত হতে পারে।
লেখক: শিক্ষাক্রম, ডিজিটাল শিক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া।