এ যুগে ৪ জনের লিবারেল প্রেমের চেয়ে নাইন্টিজের পজেসিভ প্রেমই আমার প্রিয়
শিক্ষক-ছাত্রীর এই এক্সপোজ ইস্যু আমাদের আরো একবার মনে করিয়ে দিলো, অপোজিট জেন্ডারের সাথে সম্পর্ক, সেটা নামে যতই পবিত্র হোক না কেন, এই সম্পর্কগুলোতে একটা লিমিটেশনের দরকার আছে। একটু রিজার্ভনেসের দরকার আছে।
যে দুইজনকে নিয়ে কাহিনী, তাদের দুইজনেরই কিন্তু বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড ছিলো। সেক্সুয়াল আর্জ ফুলফিল করার পার্টনারের অভাব তাদের ছিলো না। অথচ তারা শেষ পর্যন্ত পা হড়কালো। এমনকি শিক্ষক-ছাত্রীর পবিত্র বন্ধনও তাদের উন্মাদনা থামাতে পারেনি।
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ছেলে-মেয়ে বন্ধু হলে কোন না কোন সময় সেখানে ইমোশনাল সম্পর্ক চলে আসবেই। এই কথার জন্য এখনকার জাস্টফ্রেন্ড জেনারেশন পারলে হুমায়ূনকে শূলে চড়ায়।
অথচ, এই যে প্রতিটা এক্সপোজ, এই এক্সপোজগুলো আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিতেছে, কোথাও একটুখানি সেল্ফ কন্ট্রোলের দরকার আছে। সবার সাথে ফ্রেন্ডলি হওয়ার দরকার নাই, সবার সাথে ফানি বা ফ্রি হওয়ারও আসলে দরকার নাই।
আরও পড়ুন: রাজউক কলেজ ছাত্রী-শিক্ষকের ‘ব্যক্তিগত আলাপ’ ভাইরাল
অপোজিট জেন্ডার মিনস অপোজিট জেন্ডার। এখানে বন্ধুত্ব হোক, ছাত্রত্ব হোক বা আত্মীয়তাই হোক, সকল ক্ষেত্রেই একটু রিজার্ভনেস, একটু লিমিটেশন না রাখলে পা হড়কানোর সম্ভাবনাটা অনেক বেশিই থাকে। প্লাস, অফকোর্স পার্টনারের একে অপরের প্রতি জবাবদিহিতা থাকা উচিত। পজেসিভনেস এবং প্রটেক্টিভনেস থাকা উচিত।
আমি জানি, কথাগুলো যথেষ্ট ব্যাকডেটেড এবং যথেষ্ট প্যাট্রিয়ার্কাল শোনাইতেছে। বাট ফ্যাক্ট হলো, এখন পর্যন্ত যতগুলো রিলেশনে আমি প্রাইভেসি নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখেছি, তাদের বেশিরভাগ রিলেশনেই শেষে গিয়ে কোন বড় ভাই বা জাস্ট ফ্রেন্ড আবিষ্কার হইসে। এক্সপোজ হয়েছে। কাঁদা ছোড়াছুড়ি হয়েছে।
লিবারেলিজমের এই যুগে এই কথাগুলোকে অবশ্যই টক্সিসিটি বলে ট্যাগ মেরে দেওয়া হবে। নাইন্টিজে ফেরত যাইতে বলা হবে। বাট ফ্যাক্ট হইলো, এই যুগের চারজন মিলে সুখে থাকার লিবারেল প্রেমের চেয়ে নাইন্টিজের ওই পজেসিভ, টক্সিক বাট লয়্যাল প্রেমটাই আমার কাছে বেশি আকর্ষণীয় লাগে। স্যরি বাট নট স্যরি।
লেখক: অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট