১১ মার্চ ২০২৩, ১২:১১

ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নেওয়া ভর্তিচ্ছুদের ফল ভালো হবে মেডিকেলে

জারিফ তাহমিদ  © টিডিসি ফটো

মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া অনেক শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলেও ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই সে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। সহজ করে বলতে গেলে প্রায় প্রতি বছর মেডিকেলের প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রশ্নের মতো হচ্ছে। যার কারণে মেডিকেলে প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীদের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা ভালো হচ্ছে। প্রতিবছরই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সময় এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে।

এর কারণ হিসেবে বেশকিছু বিষয় উল্লেখ করা যায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে যদি বলি, আমি এবং আমার কিছু বন্ধু কয়েক মাস ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়ার পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ১৫-২০ দিন আগে মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি শুরু করি। এ প্রস্তুতিতে কাট মার্কের কাছাকাছি মার্কস নিয়ে আসতে পেরেছি। অনেকে ভর্তি হওয়ার সুযোগও পেয়ে যাই। যেখানে অনেক মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীকে অনেক কম নম্বরও পেতে দেখেছি।

এ গল্প নতুন নয়, বিগত বছরের ফলাফলেও একই ব্যাপারই লক্ষ্য করেছি। তাই, প্রথমে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্ন নিয়ে এনালাইসসিস করা দরকার। সাধারণত এখানে মুখস্থবিদ্যানির্ভর প্রশ্নই বেশি থাকে, যা প্রায় সকলেই উত্তর করতে পারে। কারণ এইচএসসি পরীক্ষার সময় সবাই বই রিডিং পড়ার মাধ্যমে এদিক থেকে এগিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: রবি অথবা সোমবারে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল

আসল ব্যবধান সৃষ্টি হয় অবশিষ্ট কিছু ট্রিকি প্রশ্নের মাধ্যমে। এমন ক্রিটিক্যাল প্রশ্নে মেডিকেলের চেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক এগিয়ে থাকে। কারণ, এডমিশন প্রিপারেশন লাইফের শুরু থেকেই তারা ক্রিটিক্যাল প্রবলেম সলভিং, ক্রিয়েটিভ থিংকিং-এসবে ব্যস্ত থাকে।

এটা বাদেও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা যায়। যেমন: মাথা ঠান্ডা রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে কিছু করা পরীক্ষার পাশাপাশি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়। মেডিকেলে ভর্তি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নেওয়া শিক্ষার্থীদের একমাত্র সম্বল না হওয়াও একটা কারণ। তাদের ভার্সিটি-ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি থাকায় তারা বেশ ঠান্ডা মাথায় মেডিকেলের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।

বিগত বছরের প্রশ্ন অধিক পরিমাণে রিপিট করার কারণেও এক্ষেত্রে কম পরিশ্রম করা শিক্ষার্থীরা অনেক সময় টিকে যায়। এতে যোগ্যরা বঞ্চিত হয়। এ বছরের প্রশ্নেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করি।

এখন মেডিকেল ভর্তি প্রস্তুতি শিক্ষার্থীদের এ সমস্যা হতে উত্তরণ পাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার বলে আমি মনে করি তা হলো- না বুঝে মুখস্থ না করে বুঝে বুঝে পড়াশুনা করা। নিজের পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি না রাখা। যাতে পরীক্ষা পরবর্তী সময়ে আফসোস না হয়। সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে সকল দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়া। ঠান্ডা মাথায় আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষা দেয়া।

লেখক: শিক্ষার্থী, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট