তিন ঋতুর পরিক্রমায় ঝরতে শুরু করে গাছের বিবর্ণ পাতা
- মোঃ আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫১ PM , আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫১ PM
শীতের হিমবায়ু বিদায় বেলায় বসন্ত বেলার মাতাল সমীরণে ধূলি ওড়ছে। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো শীত পেরিয়ে এখন চলছে বসন্তকাল। জানিয়ে দিচ্ছে বাংলার ফাল্গুনের অপার রূপ বৈচিত্র। গাছে গাছে ফোটা শুরু করেছে নতুন কুঁড়ি আর কিশলয়। তারপরই আবার আগমন ঘটবে গ্রীষ্মের। এ তিন ঋতুর পরিক্রমায় প্রকৃতি যেন তার আপন রঙ বদলায়।
ফাগুনে গাছের পাতাগুলো রঙ পাল্টাতে শুরু করে। শীতের জীর্ণতা শেষে ধূসর গাছগুলো আবার নতুন করে সবুজ বর্ণ ধারণ করতে শুরু করে। গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি, হলুদ মুকুল আর লাল শিমুলের রঙ্গে চেয়ে যায় চারিদিক। বিবর্ণ পাতাগুলো আস্তে আস্তে ঝরতে শুরু করে। শুরু হয় নতুন করে বাহার রঙ্গের সমাহার।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নিতে এসে ‘ডাকাতির’ শিকার ভর্তিচ্ছুরা
সেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমনের সন্ধিক্ষণে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসেও বইতে শুরু করেছে ফাগুনের মাতাল হাওয়া। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা যেন ঝরা পাতার বাহারি গালিচা হয়ে আছে। কলেজের প্রধান ফটকসহ শহীদ বরকত মিলনায়তন সংলগ্ন রাস্তার গাছগুলো নতুন কুঁড়ি, আর ফুল-মুকুলে ভরে গেছে। বসন্তের আমেজ লেগেছে শিক্ষার্থীদের মনেও।
মামুনুর রহমান হৃদয় জানান, প্রিয় বিদ্যাপীঠের সবুজ-শ্যামল প্রকৃতির দিকে নয়ন মেলে তাকালেই দেখা যায় ঋতুবৈচিত্র। চলমান বসন্তেও সেই বহুমাত্রিকতা সুস্পষ্ট। বসন্তের এক পাশে শীতের স্পর্শ নিয়ে বিদায় নিচ্ছে গাছের মৃত ও শুষ্ক ঝরা পাতা, আরেক পাশে দোলা দিচ্ছে নতুন অঙ্কুরের সবুজের উদ্ভাসন।
তানিশা ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে বসন্তের দখিনা বাতাসে ঝরে পড়ছে জীর্ণ, শুষ্ক, পাতা। চরাচরে কান পাতলে ভেসে আসছে ঝরা পাতাদের মর্মর ধ্বনি। চোখ মেললেই দেখা যাচ্ছে, বনে বনে ঝরা পাতার আদিঅন্তহীন ধুসর বিস্তার। যা দেখে গাইতে ইচ্ছে করে কবিতার দুটি লাইন।