মাঝেমাঝেই জাবির ভাইয়েরা ফোন করেন...
মাঝেমাঝেই জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির সিনিয়র ভাইয়েরা ফোন করেন, মেসেজ দেন। হয়তো একই ডিপার্টমেন্টেরও না তারা। হয়তো কখনো দেখাও হয়নি। আমার ভর্তিরও অনেক আগেই পাশ করে গেছেন। বয়সে ঢের বড়। কিংবা হলে কখনো টিভি রুমে দেখা হয়েছে, কিংবা লন ক্রিকেট বা টেবিল টেনিস খেলেছি কখনো।
হয়তো ডাইনিংয়ে খেতে গিয়ে কখনো কথা হয়েছে কিংবা ক্যাম্পাসে। হয়তো অন্য হলের, অন্য ফ্যাকাল্টির। কিংবা কখনো কথাও হয়নি। প্রান্তিক, ডেইরি, ক্যাফে, মুক্তমঞ্চ, চৌরঙ্গী কিংবা অন্যকোথাও দূর থেকে কেবল চোখাচোখি হয়েছে। মুখখানা চেনা হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রনিকে এত মানুষ ভালোবাসে, তা ছিল কল্পনার বাইরে
ব্যাস, ওটুকুই। ওই চেনা চোখ, চেনা মুখ, চেনা হাসি। তারপর ভুলে গেছি। কত কত বছর। দশ, পনের কিংবা তারও বেশি। জীবন ও যুদ্ধের ক্যাম্পাস শেষের স্মৃতি বিস্মৃতির সময়। হয়তো নামও ভুলে গেছি। হয়তো স্মৃতিও। কিন্তু সেই মানুষগুলোই হ্ঠাৎ হঠাৎ ফোন করেন, মেসেজ দেন, তারপর পরিচয় দিয়ে এমনভাবে কথা বলেন যে মনে হয়- এই কালই বুঝি শেষ দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে!
তারপর এমনভাবে খুলে দিতে থাকেন স্মৃতি ও অনুভবের ঝাঁপি যে বুকের ভেতর তিরতির করে কেঁপে ওঠে সেইসব সোনারঙ দিন। সোনারঙা মন। সোনারঙ মানুষ।
সেই একই মুখ, একই হাসি। সেই একই চেনা স্বর ও চাহনি এখনো তেমনই আছে। অবিকল। একই। এমন কেন? তাদের গলায় এতো মায়া, এতো অধিকার আর আপন অনুভব যে বুক আর্দ্র হয়ে যায়। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। এমনও হয় মানুষ? এইসব ভালোবাসা, এইসব মায়া, প্রেম, স্নেহ... এমন আর কোথায় গেলে পাবে কেহ? [ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]
লেখক: সাবেক শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়