চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ

এক কক্ষেই চলে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ক্লাস

  © সংগৃহীত

এক কক্ষেই চলে এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ক্লাস। নেই পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক।শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো লাইব্রেরি বা  হোস্টেল। নেই খেলাধুলা বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধাও। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ চিত্র চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু এ ভোগান্তির কারণ।

২০১৮ সালের ১ এপ্রিল চাঁদপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এরপর দ্রুতই কলেজটি অনুমোদন পায়। প্রথম ব্যাচে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। কিন্তু পাঠদানের নিজস্ব স্থান না থাকায় চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি তড়িঘড়ি অস্থায়ীভাবে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ৪র্থ তলার একটি ইউনিটে শুরু হয় কলেজের কার্যক্রম। এখানে কয়েকটি কক্ষের মধ্যে করা হয় অধ্যক্ষের কার্যালয়, অফিস ও শ্রেণিকক্ষ।

জানা যায়, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। এতসব সমস্যার মধ্যে চলছে দ্বিতীয় ব্যাচের কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষার ন্যূনতম সুবিধা না থাকায় দুশ্চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জামাল সালেহ উদ্দীন বলেন, এখানে সুযোগ-সুবিধা বলতে প্রধানত একাডেমিক কার্যক্রম। ক্লাসের যেসব সুবিধা থাকা দরকার সেগুলো মোটামুটি আছে। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের প্রচুর লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে হয়, তা এখনও চালু করতে পারিনি। 

তিনি আরও বলেন, নিজস্ব ক্যাম্পাসের জন্য সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ৩২ একর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পও তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পটি যাওয়ার পর কিছু ভুল পাওয়া গেছে। সে কারণে তারা আবার ফাইলটি স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে সংশোধিত হয়ে সেটি আবার পরিকল্পনা কমিশনে যাবে। সেখানে কোনো সমস্যা না থাকলে তা পাস হবে। তবে সব মিলে একটু সময় লাগবে।

দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বী বলেন, আমাদের কলেজে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। আবাসন সমস্যা তো আছেই। নেই খাবারের ব্যবস্থা। যেখানে অস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা হয়েছে সেখানে চেয়ার-টেবিলও নেই। এখন নতুন আরেকটি ব্যাচের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান না হলে তারাও অনেক সমস্যায় পড়বে।

শিক্ষার্থী অয়ন্তী রাব্বানী বলেন, এখানে এসেছি ১১ মাস হল। কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ এখনও শুরুই হয়নি। যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকি সেখানে সুযোগ-সুবিধা নেই বললেই চলে। আছে নিরাপত্তার সমস্যাও। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত তামিমা বলেন, হাসপাতালের চতুর্থ তলায় আমাদের ক্লাস করতে হচ্ছে। যে কারণে দেখা গেছে অপরিচিত মানুষজনও এখানে ঢুকে পড়ছে। একটা স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকলে আমাদের সিকিউরিটির সমস্যা হতো না। এছাড়া আমাদের শিক্ষকও কম।

 


সর্বশেষ সংবাদ