বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ মে ২০১৯, ১১:০০ PM , আপডেট: ১৪ মে ২০১৯, ১১:২৫ PM
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদের নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল বাতিল ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত ছিলো পুরো ক্যাম্পাস। এর আগে সোমবারও আন্দোলন হয়েছে ক্যাম্পাসটিতে। এদিকে আন্দোলনকারীদের দাবি অযৌক্তিক বলে জানিয়ে আপসহীন অবস্থানে রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এবং নিচতলায় ডা. মিলন হলের সামনে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জড়ো হয়ে পরীক্ষা বাতিল ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন।
এর আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্মারকলিপি নিয়ে বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু উপাচার্য এ সময় তার কার্যালয়ে ছিলেন না। এদিনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় সোমবারের মতো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। তাদের দাবি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নজিরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তাদের স্বজনদের নিয়োগ দিতে পরীক্ষার ফলাফলে টেম্পারিং করা হয়েছে।
ডা. রিয়াদ আরেফীন বলেন, সকালে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মিটিংয়ে ছিলেন। স্মারকলিপিতে আমরা আমাদের ৭ দফা দাবি তুলে ধরেছিলাম। এই পরীক্ষায় যে ৩২ বছরের বেশি বয়সীরা সুযোগ পেয়েছে এবং স্বজনপ্রীতি হয়েছে আমাদের কাছে এসব তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা এসব করছে। তাদের দাবি অযৌক্তিক। মেধার ভিত্তিতেই ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। অনিয়মের কোনো প্রশ্নই আসে না। তারা যতই যা করুক এ বিষয়ে কোনো আপোস হবে না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার এবং ২০ জন ডেন্টাল সার্জন নিয়োগে লিখিত পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। ২০ মার্চ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় এক পদের জন্য ৪ জনকে পাস করানো হয়। এ হিসাবে ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। চূড়ান্ত নিয়োগের ৫০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মৌখিক পরীক্ষার তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।