মেডিকেলের তৃতীয়-চতুর্থ বর্ষের সশরীরে ক্লাস শুরু ৬ নভেম্বর

মেডিকেলের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখন সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন
মেডিকেলের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা এখন সশরীরে ক্লাস করতে পারবেন  © ফাইল ছবি

দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা সশরীরে ক্লাস করার সুযোগ পাবেন আগামী ৬ নভেম্বর থেকে। বুধবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এ সংক্রান্ত নোটিস জারি করেছে।

এর আগে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। সেদিন থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসছেন। নতুন এ নোটিশের মধ্য দিয়ে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি হল। 

তবে করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন এমন শিক্ষার্থীরাই শুধু শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদেরের স্বাক্ষরিত নোটিসে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাব ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির মতামতের ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষসহ অন্যান্য চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব বর্ষের ক্লাস সশরীরে শুরুর জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক্ষেত্রে ছয়টি নির্দেশনা মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে। এগুলো হল- দুই ডোজ কোভিড-১৯ টিকা নিশ্চিত করা, ক্লাস শুরুর আগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া, শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা, হাসপাতালের ওয়ার্ডে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের সংক্রমণের ওপর নজরদারি করা।

এর পাশাপাশি কোনো শিক্ষার্থী করোনা সংক্রমিত হলে তার এবং সংস্পর্শে আসা শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও ১৪ দিনের আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংক্রমণ কিছুটা কমায় দীর্ঘ দেড় বছর পর ধীরে ধীরে সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।  

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশের ৩৭টি সরকারি এবং ৭১টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে, যেখানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন। 


সর্বশেষ সংবাদ