ডেন্টালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় সাধারণ শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের দাবি

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন  © লোগো

ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় সাধারণ শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক। আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের এক বিবৃতিতে দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত স্বাস্থ্য শিক্ষার জন্য দেশের সরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় আবারও সাধারণ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। 

গত ১২ সেপ্টেম্বর বিডিএস (ডেন্টাল) কোর্সে শিক্ষার্থীদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। ভর্তির প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিডিএস কোর্সে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি আসন সংরক্ষিত। এ পাঁচ আসনের মধ্যে পার্বত্য এলাকার জন্য তিনটি এবং অন্য অঞ্চলের জন্য দুটি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা। 

পার্বত্য এলাকার তিন আসনে সঠিক নিয়মেই শিক্ষার্থী মনোনীত হলেও অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত দুই আসনে (কোড-৭৭) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এ ভর্তি পরীক্ষায় সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ১৫ জন কৃতকার্য হলেও তাদের কাউকেই ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়নি। 

কৃতকার্যদের মধ্যে পাঁচজন সাঁওতাল, চারজন গারো, তিনজন মণিপুরী, দুজন ওরাঁও এবং একজন হাজং সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন। সমতলের সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৭৭ কোডে নির্ধারিত দুজনের জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, আবু মো. মোস্তফা কামাল (রোল-৫৬০৩৭৫০), স্যার সলিমুল্ল্যাহ মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট, ঢাকা এবং আঞ্জুম ফারিয়া (রোল- ৫৪০৬৮৪২), সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট। এ শিক্ষার্থীদের কেউই বাংলাদেশ সরকারের গেজেটভুক্ত ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর (আদিবাসী জাতিসত্তার) সদস্য নয়। 

অবিলম্বে এ রোলধারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নির্বাচিত করে তালিকা প্রকাশ করার জোর দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কীভাবে স্থান পায়, তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় শুধুমাত্র তাদেরই শিক্ষার্থীদেরই নির্বাচন করতে হবে। সে অনুযায়ী ফল প্রকাশ করতে হবে। এ অনিয়ম বন্ধ হওয়া জরুরি। 

বিবৃতিতে সই করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, উন্নয়ন কর্মী রোকেয়া কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ