ঢাবি-বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার পর মেডিকেলের মাইগ্রেশন
যেকোন একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন করা হবে না। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা প্রাধান্য পাবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাবি অথবা বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার পরপরই প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশন এবং অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করা হবে। এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেলে মেডিকেলের আরও কিছু আসন ফাঁকা হবে। ফলে তখন মাইগ্রেশন ফলপ্রসু হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বড় কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাইগ্রেশন করবো না। কেননা আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যায়। এতে করে এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা না হলে মাইগ্রেশন ফলপ্রসু হবে না।
এদিকে আসন ফাঁকা থাকলেও অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের ভর্তি না করানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। তারা বলছেন, মেডিকেলে এই মুহূর্তে ৫৩টি আসন ফাঁকা রয়েছে। তবুও তাদের ভর্তি করানো হচ্ছে না। এতে করে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ক্লাস মিস হয়ে যাচ্ছে।
তবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, প্রথম মাইগ্রেশনের সাথেই অপেক্ষমানদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় তারা। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ক্লাসই ব্যবহারিক। ফলে মেডিকেল কলেজ না খোলা পর্যন্ত ব্যবহারিক ক্লাস করানোর সুযোগ নেই। সংক্রমণ কমতে শুরু করায় শিগগিরই ভর্তি পরীক্ষা হলে মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমানদের ভর্তি শুরু করা হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, যারা অপেক্ষমান রয়েছেন তাদের বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ঢাবি অথবা বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা হলে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভর্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীদের তেমন একটা ক্ষতি হবে না। কেননা প্রথম বর্ষের অধিকাংশ ক্লাসই প্রাকটিক্যাল নির্ভর। ফলে মেডিকেল কলেজ খোলা না হলে প্রাকটিক্যাল নেয়া হবে না। ভর্তি পরীক্ষা হতে যদি বেশি দেরি হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে বিকল্পও ঠিক করে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল সারা দেশের ১৯টি কেন্দ্রে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার একদিন পরই ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান ৪ হাজার ৩৫০ জন শিক্ষার্থী।