০৪ আগস্ট ২০২১, ২১:৫১

টিকা ছাড়াই ঢামেক শিক্ষার্থীর শরীরে খালি সুই পুশের অভিযোগ

প্রতীকী  © সংগৃহীত

পাবনায় করোনা টিকা না দিয়ে এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর শরীরে খালি সিরিঞ্জ পুশের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানির পর বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য ঘটনা ঘটার প্রায় ৬ ঘণ্টায়ও কিছুই জানেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।

আজ বুধবার (০৪ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা জানান, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হান্নানের মেয়ে সাবাহ মারিয়ম অন্তিকা টিকার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়ার জন্য কেন্দ্রে গিয়ে সকালে লাইনে দাঁড়ান। বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাকে টিকা দেয়ার জন্য নির্ধারিত স্থানে বসানো হয়। এরপর সিরিঞ্জে ভ্যাকসিন না তুলে খালি সিরিঞ্জ তার শরীরে পুশ করেন।

আব্দুল হান্নান বলেন, আমার মেয়ে শান্ত স্বভাবের। টিকা কেন্দ্রে কাউকে কিছু না বলে বাসায় এসে মোবাইল দিয়ে আমার কাছে কান্না শুরু করেন। আমি জানতে চাইলে সে বলেন, টিকা ছাড়াই আমার শরীরে সিরিঞ্জ পুশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘সবার জন্য ভ্যাকসিন’ এমন অসৎ দায়িত্ব দ্বায়িত্বজ্ঞান স্বাস্থ্য সেবাকরীদের জন্য নসাৎ হচ্ছে। সরকারকে বিতর্কিত করছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হোক। প্রয়োজনে আমি উকিল নোটিশ করবো এবং আইনি ব্যবস্থা নেব।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, দুপুর ৩টা পর্যন্ত আমি হাসপাতালেই ছিলাম। এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার কানে আসেনি বা আমাকে কেউ জানায়নি। এইমাত্র আপনার মুখেই জানতে পারলাম। তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে এবং প্রমাণিত হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে, গত রবিবার (০১ আগস্ট) টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধেও টিকা ছাড়া সুই পুশের অভিযোগ উঠে। এদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। এ সময় সাজেদা আফরিন টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে শুধু সুই পুশ করে টিকা না দিয়ে সিরিঞ্জ ফেলে দেন।