বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের ফি নির্ধারণ করবে সরকার
দেশের সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের ফি নির্ধারণ করে দেবে সরকার। আজ সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মেট্রোপলিটন এলাকায় মেডিকেল কলেজের নামে দুই একর, ডেন্টাল কলেজের নামে এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় মেডিকেল কলেজের জন্য চার একর ও ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই একর জমি থাকতে হবে— এমন বিধান রেখে ‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন, ২০২১’ এর খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যুক্ত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আইনটি নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রত্যেকটি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকতে হবে। মেডিকেল কলেজের নামে তফসিলি ব্যাংকে তিন কোটি টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা রাখার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে নতুন আইনে। কলেজ পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। অ্যাকাডেমিক অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রত্যেক বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজকে কোনও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ট থাকতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের ফি সরকার নির্ধারণ করে দেবে। মেডিকেল বর্জ্য সায়েন্টিফিক ওয়েতে ডিসপোজাল করতে হবে। আইনে বলা হয়েছে— মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের জন্য কমপক্ষে এক লাখ বর্গফুট, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য আরও এক লাখ বর্গফুট কনস্ট্রাকশন সুবিধা থাকতে হবে। আর ডেন্টাল হাসপাতালের জন্য ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে।’
সচিব জানান, আইনের যে কোনও শর্ত ভঙ্গ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।