মেডিকেল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, রিমান্ডে প্রেমিক

  © ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

চীনের একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করছিলেন সিরাজুম মনিরা সোমা। এরপর সেখানে এস এম রাকিবুল আজাদ নামে এক আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে খিলক্ষেতের একটি বাসা থেকে সোমার লাশ উদ্ধার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এসময় তার দুই হাত ও গলায় কালো স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। খবর পেয়ে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসেন সোমার মা-বাবা। তার মা হোসনে আরা রাজশাহীর একটি স্কুলের শিক্ষিকা। আর বাবা আতাউর রহমান প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহকারী উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সোমারকে খুন করার অভিযোগে আজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য বুধবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজাদকে ৩ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।

খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সী ছাব্বির আহম্মদ বলেন, এ হত্যার ঘটনায় আজাদ জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুজনে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন বলে জানা গেছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের রহস্য জানা সম্ভব হবে।

জানা যায়, সোমা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এরপর এমবিবিএস পড়তে যান চীনে। সেখানকার একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বছর দুয়েক আগে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর গত বছরের মার্চ মাস থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছিলেন।

এদিকে, খিলক্ষেত থানা-পুলিশ বলছে, গত বছরের এপ্রিল মাসে খিলক্ষেতের একটি বাসা ভাড়া নেন সোমা ও আজাদ।


সর্বশেষ সংবাদ