ছাত্রাবাসে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

  © সংগৃহীত

রংপুরে শহিদুল ইসলাম ওলি নামে এক মেডিকেল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে নগরীর পীরজাবাদ প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সংলগ্ন ছাত্রাবাস থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওলি কুড়িগ্রাম সদরের আব্দুল হকের ছেলে। সে প্রাইম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। 

ছাত্রাবাসের গার্ড রফিকুল ইসলাম মণ্ডল জানান, রাত ১১টার দিকে হঠাৎ শিক্ষার্থীরা চিৎকার ও ছোটাছুটি করতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন ওলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে দ্রুত তাকে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ছাত্রাবাসের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ওলি করোনার জন্য বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু ঘটনার রাতে হঠাৎ ওলি রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। তাদের সন্দেহ হলে রুমের দরজা ভেঙে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশিতে ঝুলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে প্রত্যক্ষদর্শী রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান তুহিন অভিযোগ করে বলেন, আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন পরিচালিত ওই ছাত্রাবাস থেকে চিৎকার শুনতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি ওলির মৃত্যু হয়েছে এবং তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, ওলির বাবা কাঠমিস্ত্রি হলেও জমি বিক্রি করে ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। তার আশা ছিল ছেলে ডাক্তার হয়ে গরীবের চিকিৎসাসহ পরিবারের অভাব দূর করবে। ছাত্রাবাসে মারামারির ঘটনায় ওলির মৃত্যু হয়েছে এবং তা আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর খবর জেনেও আইসিইউতে ওলিকে রাখে বলে জেনেছি।

ছাত্রাবাসের স্বত্বাধিকারী শাহাদৎ হোসেন জানান, নিরাপত্তার জন্য ছাত্রাবাসে সিসিটিভি রয়েছে। প্রয়োজনে ওই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জানা যাবে কী হয়েছিল ঘটনার সময়। তার পরিবারের লোকজন এসে লাশ নিয়ে গেছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই লাশ উদ্ধার করি। বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে লাশটি। ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।


সর্বশেষ সংবাদ