৫ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ৪ কোটি আত্মসাত, রমেক অধ্যক্ষের গ্রেফতার দাবি
রংপুর মেডিকেল কলেজে (রমেক) দুর্নীতির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ ডা. নুর ইসলামের গ্রেফতার দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। এই সংসদ সদস্য রমেকের পরিচালনা পর্ষদেরও সভাপতি। এক বিবৃতিতে শুক্রবার তিনি দুর্নীতি ও আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাঙ্গা আশা প্রকাশ করেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে রমেকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ফিরে আসবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন রংপুর মেডিকেল কলেজের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রমেকের জন্য বরাদ্দ ৫ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ সেপ্টেম্বর দুদক রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর থেকে রমেকের অধ্যাপক ডা. নুর ইসলাম ও মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সারোয়াত হোসেন চন্দন আত্মগোপনে আছেন। বাকি আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক কোম্পানির মালিক জাহের উদ্দিন সরকার, তার বাবা আবদুস সাত্তার, ছেলে আহসান হাবিব ও ভগ্নিপতি আসাদুর রহমান।
জানা গেছে, রমেক অধ্যক্ষ ডা. নুর গত ১২ সেপ্টেম্বর এক মাসের অর্জিত ছুটির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে তার ছুটি মঞ্জুর হয়েছি কিনা এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে কোনো পত্র দেয়া হয়নি। রমেকের সচিব একরামুল হক জানান, এক্ষেত্রে ধরে নেয়া হয় অধ্যক্ষের ছুটি মন্ত্রণালয় মঞ্জুর করেনি। অপরদিকে ডা. সারোয়াত বিদেশ গমনজনিত ছুটি নেন সেপ্টেম্বরের ২১ তারিখ পর্যন্ত। ছুটি শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলেজে যোগদান করেননি। তিনি কোথায় আছেন তাও জানে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।