বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অফিস ভাঙচুর, স্থগিত পরীক্ষা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের আন্দোলনের মুখে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকে মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন চাকরি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জের ধরে ভিসির অফিস কক্ষ ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ভিসির রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেন তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিএসএমএমইউ-এর গেট, গেটের ভেতর ও মূল ভবনের ভেতরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতার সুপারিশকৃত কয়েকজন প্রার্থীকে পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের ব্যাপারে ভিসি অস্বীকৃতি জানালে এ অসন্তোষে এবং ক্ষোভ শুরু হয়।
বেলা ২টা পর আন্দোলনকারী ভিসির কক্ষের সামনে থেকে স্লোগান দিতে দিতে সরে যান। এ সময় তারা জানান, চিকিৎসক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এটা স্থায়ীভাবে স্থগিত করা না হলে আন্দোলন চলবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আন্দোলনরত এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘বিএসএমএমইউ-এর ভিসি ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়ম করে নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। এখন পুলিশ দিয়ে হামলা করে অনিয়ম ঢাকতে চাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, আজকে আমাদের সঙ্গে সহকারী চিকিৎসকরা আন্দোলনে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন। পুলিশ তাদের ওপরও হামলা চালায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাই আমরা এ ভিসি চাই না, তার পদত্যাগ চাই।