বেসরকারি ৬ মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত
শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও পড়াশোনার ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা না থাকায় দেশের ৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে দুটিতে এবার বন্ধ করা হচ্ছে। আর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) মানদণ্ড মেনে না চলায় বাকি চারটিতে আগে থেকেই ভর্তি স্থগিত ছিল। এছাড়া ৪টি মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, চারটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন স্থগিত আছে। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু এসব কলেজ ভিজিট করে দেখা গেল, কোনো শূন্যতা তারা পূরণ করেনি। সে কারণে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
তিনি বলেন, এসব কলেজে গত বছরও ভর্তি বন্ধ ছিল। নতুন করে আরও দুটি মেডিকেলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ করা হলো। এসব কলেজ শূন্যতাগুলো পূরণ করতে পারলে পরেরবার সিদ্ধান্ত হবে যে, স্থগিতই থাকবে। নাকি আবারও ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হতে যাওয়া দুই মেডিকেল কলেজ হলো—শরীয়তপুরের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ এবং মুন্সিগঞ্জের ভূইয়া মেডিকেল কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানে আসন্ন ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে।
এছাড়া নির্ধারিত নিয়ম ও মানদণ্ড অনুসরণ করতে না পারায় ৪ মেডিকেল কলেজে ভর্তি কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসি। এগুলো হলো—ডেমরার আইচি মেডিকেল কলেজ, ধানমণ্ডির নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, রংপুরে নর্দার্ন বেসরকারি মেডিকেল ও রাজশাহীর শাহ মাখদুম মেডিকেল কলেজ। গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও তারা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না।
৪টি মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ
বেসরকারি ৪টি মেডিকেল কলেজে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রেখেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু দেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নেওয়া যাবে। এগুলো হলো—বরিশালের সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ, রাজধানীর উত্তরার আহসানিয়া মিশন মেডিকেল কলেজ, রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ফজলুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও জুরাইনের ব্যারিস্টার রফিকুল হক মেডিকেল কলেজ।