পাঁচ দাবিতে হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান মেডিকেল শিক্ষার্থীদের

হাইকোর্ট এলাকায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
হাইকোর্ট এলাকায় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ  © টিডিসি ফটো

পাঁচ দফা দাবিতে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে এসে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু মানা হয়নি। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। আজকের মধ্যে দাবি না মানলে তারা আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন। পাঁচ দফা দাবি মানলে স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে। তেমনি রোগী ও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো-
১. এমবিবিএস/বিডিএস ব্যতীত কেউ চিকিৎসক লিখতে পারবে না। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। বিএমডিসি নিবন্ধন শুধু এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সাল থেকে হাসিনা সরকার ম্যাটসদের (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করেছে। এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে নিবন্ধন দেওয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওভার দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি লিস্টের বাইরের ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরের কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।

আরো পড়ুন: দুর্ঘটনার সময় বাসে ঘুমিয়ে ছিলেন ইবি শিক্ষার্থীরা, হঠাৎ ‘মামা’ ডাক শুনে...

৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সব শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে আগের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবছর ৪-৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। চিকিৎসকদের বিসিএসে বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪. সব মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ