১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:২৮

‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অধ্যাপককে অপসারণ দাবি, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

নওগাঁ মেডিকেল কলেজে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. কান্তা রায় রিমিকে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ আখ্যা দিয়ে অপসারণের দাবিতে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এনাটামি বিভাগে যোগ দেয়া এই শিক্ষককে অপসারণ না করা হলে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা। 

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, অধ্যাপক ডা. কান্তা রায় রিমি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী এবং সুযোগ নিয়ে নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি করেছেন। এছাড়াও পূর্বে তিনি একাধিকবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডা. কান্তা রায় রিমিকে অপসারণের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ডা. কান্তা রায় রিমিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে পদায়ন করা হয়।  

এর আগে ডা. কান্তা রায় রিমি রংপুর এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে এনাটমি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলজে পদায়ন করা হয়।

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাফি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এই মেডিকেলে ডা. কান্তা রায় রিমি নামে একজন শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার নানা অপকর্মের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল থেকে তাকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা তার মতো একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। নওগাঁ মেডিকেল কলেজে যেন তাকে কোনোভাবে যোগদান করতে না দেওয়া হয় সে দাবিতে আমরা একত্রিত হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো প্রকার ক্লাস এবং পরীক্ষায় বসব না। 

নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. পিযুষ কুমার কুন্ড বলেন, ডা. কান্তা রায় রিমি এনাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করার জন্য আসেন। শিক্ষার্থীরা তার যোগদানের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তার যোগদান আমরা এখানে আর নিচ্ছি না। অধ্যক্ষের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।