২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৯

আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় ময়মনসিংহ মেডিকেলের ১১ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল  © সংগৃহীত

ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ডিসিপ্লিনারি কমিটি অভিযুক্তদের আজীবন হোস্টেলে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করেছেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন: শামীম হত্যার অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করলো জাবি

নোটিশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনসহ ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: জাবিতে পিটিয়ে হত্যা: ধামরাইয়ের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি আটক

গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে অভিযুক্ত এই ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এবং সশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।

এর মধ্যে অভিযুক্ত ১৩ জনকে আজীবনের জন্য হোস্টেলে নিষিদ্ধ করাসহ ডা. প্রতীক বিশ্বাস, আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার দাস এবং ফায়াদুর রহমান আকাশকে দুই বছরের জন্য, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, আবু তাহের বিপ্লব রুবেল, কামরুল হাসান ও আবু রায়হানকে এক বছরের জন্য এবং সাখাওয়াত হোসেন সিফাত নামের একজনকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ডা. অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ইর্ন্টানশিপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া অভিযুক্তরা সবাই মমেক কলেজ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।