কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর দাবি শিক্ষার্থীদের
হাসপাতালের কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না হওয়ায় ভোগান্তীতে পড়ছে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের রোগী এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ব্যাচের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থীকে ক্লিনিক্যাল ক্লাস করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের সদর হাসপাতালে যেতে হয়। পর্যাপ্ত পরিবহন সুবিধা, সদর হাসপাতালের হযবরল অবস্থা, পর্যাপ্ত যন্ত্রাদির অভাবে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলেও বিষয়গুলোর সমাধান হয়নি জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম চালু করতে কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে স্মারক লিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চালু করার দাবি জানান।
জানা যায়, কুষ্টিয়া ও তার পার্শবর্তী অঞ্চলের মানুষের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ না করেই অস্থায়ীভাবে কুষ্টিয়া ম্যাটস ভবন ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালকে কেন্দ্র করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই হাজারো অনিয়ম ও দূর্নীতি সংঘটিত হয়। পর্যায়ক্রমে প্রায় ১১০০ কোটি টাকা বাজেট হওয়ার পরও কলেজ ও হাসপাতাল হস্তান্তরে নানান গড়িমসি দেখা যায়।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৫ ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী হাসপাতাল উদ্বোধনের পরও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মেডিকেল কলেজের ৩য় বর্ষ থেকে ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরের সদর হাসপাতালে যেতে হয়।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ২০১৯-২০ সেশনের আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।’
২০২১-২২ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী খালিদ হোসাইন বলেন, ‘শিক্ষার্থীর যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত হাসাপাতালের স্বাস্থ্যসেবা চালু করুক’
একই সেশনের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠার ১ যুগ পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণে এতদ অঞ্চলের রোগী এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, আমরা এ সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই।’ মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রকল্প পরিচালক, হাসপাতাল পরিচালক, অধ্যক্ষের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেন।