বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি: শিক্ষার্থীদের এসএমএস পাঠানোর তারিখ পরিবর্তন
দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নতুন করে দেশীয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি আবেদন শেষ হয়েছে। নতুন করে ভর্তির জন্য ৯৬৩ জন ভর্তি আবেদন করেছেন। আগামী ২৩ জুন ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো শুরু হবে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের শূণ্য আসনে স্বঅর্থায়নে ভর্তিচ্ছু দেশি শিক্ষার্থীদের পুনরায় অনলাইন আবেদন টেলিটক বাংলাদেশ লি: এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে। অনিবার্য কারনবশত আগামী জুন নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক নির্বাচন শেষে নিশ্চায়নের জন্য এসএমএস প্রদান করা হবে।
এর আগে আরেক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী এসএমএস পাঠানো শুরু হবে ১৩ জুন। ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। যা চলবে ২৪ জুন পর্যন্ত। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের ভর্তি শুরু হবে ২৭ জুন থেকে। ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হবে চলবে ৮ জুলাই। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে সব তারিখই পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নতুন করে দেশি-বিদেশি মিলিয়ে এক হাজার ৪০৪ জন ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে দেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯৬৩ জন। গত ১৩ জুন থেকে প্রাথমিভাবে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে।
কোন মেডিকেলে কত আসন ফাঁকা
১ থেকে ১০টি আসন ফাঁকা থাকা ১৬টি মেডিকেল কলেজগুলো হলো- হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ, কিশোরগঞ্জ জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এবং ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে একটি করে আসন শূন্য রয়েছে। কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ দুটি করে আসন ফাঁকা রয়েছে। ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে চারটি করে আসন শূন্য রয়েছে। টাঙ্গাইল কুমুদিনী মেডিকেল কলেজে পাঁচটি, রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজে ছয়টি, মানিকগঞ্জ মুন্নু মেডিকেল কলেজে সাতটি, ঢাকার সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ এবং খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজে আটটি করে আসন ফাঁকা রয়েছে। রাজধানীর পুরান ঢাকার আসগর আলী মেডিকেল কলেজ এবং চট্টগ্রাম সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ ১০টি করে আসন ফাঁকা রয়েছে।
২০ আসনের বেশি ফাঁকা ২০ কলেজগুলো হলো- পপুলার মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৪৯ আসন। ৮০ আসনের গাজীপুর সিটি মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৪৮ আসন। ১০৫ আসনের রাজশাহীর বরেন্দ্র মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৩৮ আসন। ১০০ আসনের চট্টগ্রাম বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৩৬ আসন। ১৩০ আসনের ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৩৫ আসন। ৫০ আসনের মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ৬৫ আসন। ৭০ আসনের রাজধানীর মার্কস মেডিকেল কলেজে ফাঁকা ২০ আসন। ১১৫ আসনের এমএইচ মেডিকেল কলেজে ২৫; ৮৫ আসনের সিরাজগঞ্জ নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজে ২২টি; ৮২ আসনের সিলেট পার্কভিউ মেডিকেল কলেজে ২৫; ৯৫ আসনের কিশোরগঞ্জ প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজে ২৬; ১৩৫ আসনের রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজে ২৪; ৯০ আসনের গুলশান শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে ২৬; ১৪০ আসনের শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে ২০; ৫০ আসনের আহছানিয়া মিশন মেডিকেল কলেজে ২০; ৫০ আসনের আশিয়ান মেডিকেল কলেজে ২৬; ৫৭ আসনের মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর ভূঁইয়া মেডিকেল কলেজে ২২; ৬০ আসনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজে ২২; ১৪০ আসনের ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজে ৩১; ৮০ আসনের চট্টগ্রামের ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড হেলথ সায়েন্সে ২৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে।