দুই পিস্তল, ১২ চাকু নিয়েই ক্যাম্পাসে এসেছিলেন মেডিকেল শিক্ষক রায়হান
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় গ্রেফতার শিক্ষক রায়হান শরীফের কাছে পিস্তল, গুলিসহ আরও অস্ত্র পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকে ৭.৫৬ বোরের অত্যাধুনিক দুটি বিদেশি পিস্তল, ৮১টি গুলি, চারটি ম্যাগাজিন ও ১২টি বিদেশি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
এসব অস্ত্র তার কাছে থাকা ব্যাগেই পাওয়া গেছে। তিনি ব্যাগে করে এসব অস্ত্র নিয়েই মেডিকেল কলেজে এসেছিলেন। তবে তার বাসায় কিছু পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জেলা ডিবির ওসি জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার্থীর পায়ে গুলি করার ঘটনায় গতকালই রায়হান শরীফকে আটক করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী তমালের বাবা আবদুল্লাহ আল আমিনের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ফোন ঘেঁটে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা অত্যাধুনিক বিদেশি পিস্তলের অনেক ছবি পাওয়া গেছে। তার কাছে আরও অস্ত্র আছে কি না খোঁজ নিতে সোমবার (৪ মার্চ) রাতেই তাকে নিয়ে তার বিএ কলেজ রোডের প্রফেসর গার্ডেন নামের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে বাসায় নতুন কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
ডিবির ওসি আরও বলেন, শিক্ষক রায়হান শরীফ ইন্টারনেটে বিদেশি পিস্তলের ছবি দেখলেই ডাউনলোড করে রাখতেন এবং বিদেশি অস্ত্র কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। অস্ত্রের প্রতি তার বিশেষ আকর্ষণ থেকেই এই অস্ত্রগুলো কিনেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের কাছ থেকে উদ্ধার করা অত্যাধুনিক দুটি বিদেশি পিস্তলই অবৈধ ছিল। অবৈধ অস্ত্র রাখায় ডিবির এসআই আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো তার ব্যাগে ছিল। শিক্ষক রায়হান শরীফ তার ব্যাগে করে অস্ত্রগুলো নিয়ে নিয়মিত মেডিকেলে কলেজে যাতায়াত করতেন।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক তৃতীয় বর্ষের ক্লাস নেওয়ার সময় শ্রেণিকক্ষেই শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষককে আটকে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।