বাবা নেশাগ্রস্ত মা পরকীয়ায় আসক্ত, গলায় ফাঁস নিলেন নার্সিং পড়ুয়া মেয়ে
রাজধানীর কলাবাগান থানার ক্রিসেন্ট রোডের একটি মহিলা হোস্টেলের ৫ম তলা থেকে কারিনা ঘোষ (২১) নামে এক নার্সিং পড়ুয়া শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ(ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মৃত কারিনা ঘোষ আনোয়ার খান মর্ডান নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং তিনি কলাবাগানে একটি হোস্টেলের ৫ম তলায় থাকতেন।
কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিজা আক্তার জানান, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মধ্যরাতে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মৃতের (কারিনা ঘোষ) বাবা-মায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দাম্পত্য কলহ চলছিল। বাবা কুষ্টিয়াতে থাকেন এবং মা বরিশালে থাকেন। পূজার ছুটিতে বাবা এবং মায়ের কারো কাছে যাননি তিনি। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা বাবা-মায়ের সম্পর্কের অবনতির কারণেই তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মৃত কারিনা ঘোষের ফুফু মনসা রানী ঘোষ জানান, কারিনা ঘোষের বাবা কিরণ ঘোষ ও মা লক্ষ্মী ঘোষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ মনোমালিন্য চলছে। তার বাবা কিরণ ঘোষের কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের দোকান রয়েছে এবং মা বরিশালে নিজ বাবার বাসায় থাকে। তার বাবা নেশাগ্রস্ত এবং মা পরকীয়ায় আসক্ত। পূজায় কারিনা বাবা এবং মা কারো কাছে যেতে পারেনি।
তিনি আরও দাবি করেন, মূলত বাবা-মায়ের সম্পর্কের অবনতির কারণে অভিমানে কারিনা ঘোষ এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
কারিনার মামা স্বপন মজুমদার বাবু বলেন, আমি সংবাদ শুনে এসেছি। কারিনা নাসিংয়ে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে বিএসসি কোর্সে পড়াশোনা করছিল। বর্তমানে সে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। থাকতো ক্রিসেন্ট রোডে একটি নারী হোস্টেলে। মঙ্গলবার পুজোর অনুষ্ঠানেও গিয়েছিল। পরে রাতে খবর পেয়েছি। তবে কী কারণে এ ঘটনা, তা জানতে পারেননি তিনি।