মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সভা বাতিল
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের আসছে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় এগিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নীতিনির্ধারণ করতে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) একটি উচ্চ পর্যায়ের সভা করার পরিকল্পনা ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের ব্যস্ততার কারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষার অন্যতম তদারক সংস্থাটির এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই চেষ্টার অংশ হিসেবে ভর্তি পরীক্ষার সময়সীমা এগিয়ে আনা হতে পারে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের চেয়ে অন্তত এক মাস আগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে—বিষয়গুলো নিয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যস্ততার কারণে আজকের সভাটি হয়নি।
দেশের স্বাস্থ্য শিক্ষায় করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে মার্চে আয়োজন করা হয়েছিল। এবারও তেমনই পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর তাদের পরিকল্পনার কথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগকে জানানোর পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের চেয়ে অন্তত এক মাস আগে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে—বিষয়গুলো নিয়ে আজকের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়ের ব্যস্ততার কারণে আজকের সভাটি হয়নি।
এর আগে গত ১০ মার্চ ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার একদিন পরই ১২ মার্চ ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে ৪৯ হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেরা পাস করেছে ২০ হাজার ৮১৩ জন, যা শতকরায় ৪২ দশমিক ৩১ শতাংশ ও মেয়েরা পাস করেছে ২৮ হাজার ৩৮১জন অর্থাৎ ৫৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মেধ্যে ছেলেরা সরকারি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবে এক হাজার ৯৫৭ জন অর্থাৎ ৪৫ শতাংশ। আর মেয়েরা সুযোগ পাবে দুই হাজার ৩৯৩ অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ।
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালের ১ এপ্রিল। এর চার দিন পর ৫ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাস করে ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন। পাসের হার ছিল ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ।