০৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:০৩

ওষুধ কোম্পানির মাসোহারা নিয়ে চিকিৎসকদের ভাবতে বললেন শিক্ষামন্ত্রী

ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

ওষুধ কোম্পানি থেকে অর্থ ও মাসোহারা নেওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকদের ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, আমি সবার সামনে বিস্তারিত কিছু বলব না। শুধু বলব, এটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।

আজ রবিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওষুধ কোম্পানি কিন্তু প্রতিবছর কম টাকা দিচ্ছে না। এই টাকাগুলো কী ফর্মে দিচ্ছে, চিকিৎসকরা কী ফর্মে নিচ্ছেন, আর কী ফর্মে নেওয়া উচিত। আমি এখানে আর বিস্তারিত বলব না। দয়া করে আপনারা এই বিষয়গুলো নিয়ে একটু ভাববেন।

তিনি বলেন, রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের মমত্ববোধ খুব একটা দেখা যায় না। এটা অবশ্য নতুন কিছু না। বঙ্গবন্ধুর সময়েও এমনটা ছিল। এ কারণে তিনি বলেছিলেন আপনাদের মানবতাবোধ থাকা দরকার, মনুষ্যত্ব থাকা দরকার, সততা থাকা দরকার। না হলে জাতি কোনোদিনও বড় হতে পারে না। এমনকি জাতির পিতা এটাও বলেছিলেন যে, শেখ মুজিবকে বেটে খাওয়ালেও সোনার বাংলা হবে না, যদি আমরা সোনার মানুষ করতে না পারি।

ডা. দীপু মনি বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের দেশে চিকিৎসকরা আসছে। তাদের সঙ্গে আমরা কোলাবোরেশন করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের টেকনোলজি ট্রান্সফারেও অনেক কাজ হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ যারা বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন, তারা যখন আমাদের দেশে এসে টেকনোলজি ট্রান্সফার করছেন। একইভাবে বিদেশি চিকিৎসকরাও আসছেন। এসব ক্ষেত্রে আমরাই যে তাদের থেকে শিখছি, তা কিন্তু নয়। অনেক দেশ আছে, যারা সারা বছরেও যা রোগী না দেখেন, আমাদের চিকিৎসকরা এক সপ্তাহেই তা দেখছেন। আমাদের এই অভিজ্ঞতারও অনেক দাম আছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। আমাদের দেশে অনেক গবেষণা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেই সুযোগটা করে দিচ্ছেন। তিনি নতুন করে অনেক ৫০০ বেডের হাসপাতাল করে দিয়েছেন, জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজও করে দিচ্ছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। এসবের পেছনে অবশ্যই চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদেরও অবদান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।