বেসরকারি মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় আবেদন গ্রহণ শুরু
চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তিতে এ বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পুনরায় আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কোটায় প্রায় ৩২৬টি এবং সবমিলিয়ে মোট ৭৩১টি আসন ফাঁকা রয়েছে দাবি মেডিকেল কলেজগুলোর।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় ভর্তির সুযোগ দিতে ভর্তির পোর্টাল উন্মুক্ত করার আবেদন জানায়। বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান এবং সাধারণ সম্পাদক ড. আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক যৌথ চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছিল।
এ বছর ভর্তি শুরুর পর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ভুটান, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে বিদেশি ১ হাজার ২৩৫ জন শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করে। বর্তমানে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তির ক্ষেত্রে মোট আসনের ৪৫ শতাংশ কোটা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। তবে এসব আসনে বিদেশি কোনো শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে ভর্তির সুযোগ থাকে দেশীয় শিক্ষার্থীদের।
বর্তমানে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের কোটায় প্রায় ৩২৬টি এবং সবমিলিয়ে মোট ৭৩১টি আসন ফাঁকা রয়েছে।
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশের ৬৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন রয়েছে ৬ হাজার ২০৮টি। এই আসনগুলোর মধ্যে দেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন (দরিদ্র কোটাসহ) ৩ হাজার ৬৫৭টি। এ ছাড়াও বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত আসন ২ হাজার ৫৫১টি।
চলতি বছর নানা আলোচনা-সমালোচনার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাক্রম অনুযায়ী দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে অর্থের মানদণ্ডের পরিবর্তে মেধার ভিত্তিতে বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারছেন শিক্ষার্থীরা। এবারই প্রথম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্ধারিত ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকায় ভর্তি হবেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে অটোমেশন পদ্ধতি চালু থাকলেও বেসরকারি কলেজগুলোতে মেধার চেয়ে অর্থের মানদণ্ডে যারা এগিয়ে থাকতেন, তারাই ভর্তির সুযোগ পেতেন। অটোমেশন পদ্ধতিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। এতে মেধাবীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির অগ্রাধিকার পাবেন।