১৯ আগস্ট ২০২৩, ১৭:২৫

ক্লাসে ফিরেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, খোলা হয়েছে তালাবদ্ধ কক্ষ

তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা  © ফাইল ছবি

তিন দফা দাবিতে দুই কার্য দিবস বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হলো খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) ভবন গেটসহ ৫টি কক্ষের তালা। একই সঙ্গে ক্লাসে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজ ভবনের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, হাসপাতালের পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের কক্ষের তালা খুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত বুধবার থেকে তিন দফা দাবিতে কক্ষগুলোতে তালাবদ্ধ করেছিল তারা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে খুমেক শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌসের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইটি মডেল ফার্মেসি ও পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেলের সামনে বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যান মেডিকেলের শিক্ষার্থী হাসান ফেরদৌস। দোকানি এক পাতা ওষুধের দাম ৭০ টাকা জানালে হাসান ফেরদৌস ১০ শতাংশ কমিশন বাদ দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দোকান মালিক বিপ্লব তাকে অপমান করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে গিয়ে জানালে অন্য শিক্ষার্থীরা ওই দোকানে যান। 

তখন বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওষুধের দোকানিদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার সন্ধ্যায় ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ওষুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন ১০ থেকে ১৫ শিক্ষার্থী। এর জেরে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তিন দফা দাবিতে বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই কার্যদিবস তারা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন। দাবিগুলো বাস্তবায়ন হওয়ায় তারা আজ মেডিকেল কলেজ ভবনের প্রধান ফটকসহ ৫টি কক্ষের তালা খুলে দিয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছেন।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ জানান, এই আন্দোলন তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মন ছুঁয়ে গেছে। তারা তাদের দাবিতে অটল ছিলেন। তাদের অনেকটাই বাস্তবায়ন হয়েছে। মডেল ফার্মেসির ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন, হামলাকারীদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার।

পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি এখানে দ্রুত স্থায়ী অথবা অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন হবে। লেখাপড়া ও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা যেসব জায়গাতে লক করা ছিল তা খুলে দিয়েছে—জানিয়েছেন ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।