ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে চমেক প্রশাসনের জিডি, ক্যাম্পাসে নজরদারি
ক্যাম্পাসে নানা অপকর্ম ও অপপ্রচারের অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও ছাত্রলীগের কথিত নেতা আসেফ বিন তাকির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার নগরীর চকবাজার থানায় এ জিডি করা হয়। এ ছাড়া আজ শনিবার চমেকের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় তাকিকে কঠোর নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
একই সঙ্গে তাকিসহ বিতর্কিত বা বহিষ্কৃত কারও সঙ্গে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে দেখা গেলে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় তাকির বিরুদ্ধে সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া যাবতীয় সিদ্ধান্ত আজ থেকেই কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার।
জানা গেছে, চমেক ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। তার পরও তাকিসহ কয়েকজন নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে চমেকের বিভিন্ন ছাত্রাবাসে নানা অপকর্ম করছে বলে অভিযোগ আছে। তাকি চমেকের ৫৯তম ব্যাচের এমবিবিএসের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশের সংগঠন ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এ ছাড়া তাকি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবেও ক্যাম্পাসে পরিচিত।
তার বিরুদ্ধে কলেজ ক্যান্টিনে খেয়ে টাকা না দেওয়া, কর্মচারীদের মারধরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন তাকির বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবেও অভিযোগ দিয়েছেন।
চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকির বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে নানা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাছাড়া তাকি কলেজ প্রশাসন, হোস্টেল তত্ত্বাবধায়কসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সে জন্য তার বিরুদ্ধে জিডি করা হয়েছে চকবাজার থানায়। এ পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষ যাতে কলেজের সুনাম ক্ষুণ্ন বা শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্টের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি আমরা। কারও বিরুদ্ধে ছাত্রাবাস বা ক্যাম্পাসে অবৈধভাবে প্রবেশ কিংবা অবস্থানের প্রমাণ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।