০৯ জুলাই ২০২৩, ১৪:৩২

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে ট্রেইনি চিকিৎসকরা

শহীদ মিনারে অবস্থান ধর্মঘট করে কর্মবিরতি করছেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা  © সংগৃহীত

মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা শনিবার শহীদ মিনারে অবস্থান করে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। আজ রবিবারও (৯ জুলাই) সকাল দশটার পর শহীদ মিনারে অস্থান ধর্মঘট ও কর্মবিরত চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন জানান, আমরা গত ছয় মাস ধরে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এবং পেশাদার সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করছি। কিন্তু আমরা কোনো সন্তোষজনক সাড়া পাইনি। সরকার আমাদের ভাতা বাড়ানোর গেজেট জারি না করা পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।

জানা গেছে, বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় সাড়ে ৮ হাজার চিকিৎসক আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জরিমানা খোয়াতে হলো অর্ধকোটিরও অধিক

ট্রেইনি চিকিৎসকেরা কর্মবিরতিতে যাওয়ায় রোগীদের স্বাভাবিক সেবা দিতে চিকিৎসকদের ওপর চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক।

প্রসঙ্গত, এফসিপিএস, এমডি, এমএস ডিপ্লোমা কোর্সের ডিগ্রিধারী এ চিকিৎসকরা ২০ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পান। তাদের দাবি, সরকারি অন্য পেশার লোকজন অনেক বেশি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা অবহেলার শিকার। তাদের নামে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা অপ্রতুল। এ কারণে তাদের ভাতা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছেন ট্রেইনি চিকিৎসকরা।

পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডাক্তারদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য দুই থেকে পাঁচ বছরের জন্য একটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। তাদের সরাসরি রোগীর সেবা দেওয়া, বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা এবং তাদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অনুমতি দেওয় হয় না এবং তাদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হয়।