নিজেই নিজের বেতন ৮৩ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৪২ করলেন উপাচার্য
নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নিজেই নিজের বেতন স্কেল তৃতীয় গ্রেড থেকে বাড়িয়ে প্রথম গ্রেড করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। পরে তিনি নিজের বেতন বৃদ্ধির এই বিষয়টি সিন্ডিকেটে পাসও করিয়ে নেন। গত মাসের ২৩ মে একটি পরিপত্র প্রকাশ করে ইউজিসি।
প্রতিষ্ঠানটির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক (বাজেট) মো. হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান থেকে আহরিত বেতন-ভাতাদির সমপরিমাণ অর্থ মাসিক বেতন হিসেবে প্রাপ্য হবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নিয়ম পরিবর্তন করে তাঁর বেতন প্রথম গ্রেডে উন্নীত করে। এই এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নেই।
সব মিলিয়ে আমার প্রফেশনালিজম অনেক বছরের, সে জন্য প্রথম গ্রেডে বেতন নেওয়ার যোগ্যতা রাখি। এই সব বিষয়ে ইউজিসিকে লিখিত আকারে জানিয়েছি। -উপাচার্য
সরকারের সর্বশেষ পে-স্কেল অনুযায়ী প্রথম গ্রেডে সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা। এর সঙ্গে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা মিলিয়ে মোট বেতন-ভাতা দাঁড়ায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ইসমাইল খান প্রথম গ্রেডে মূল বেতন পান ৮৩ হাজার টাকা।
আর ভাতাসহ তিনি পান মোট প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অথচ তাঁর তৃতীয় স্কেলে মূল বেতন ছিল ৭৪ হাজার টাকা। এ অবস্থায় এলপিসি অনুযায়ী তার বেতন নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সুপারিশ করেছে ইউজিসির পর্যবেক্ষণ দল।
আরও পড়ুন: জাবির সিনেটে ২৯৪ কোটি টাকার বাজেট পাস
উপাচার্য ইসমাইল খান বলেন, ২০১২ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে বেতন স্কেল গ্রেড-৩-তে ফার্মাকোলজি বিভাগে অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলাম। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ও ডিন হিসেবে যোগদান করি।
তিনি বলেন, সব মিলিয়ে আমার প্রফেশনালিজম অনেক বছরের, সে জন্য প্রথম গ্রেডে বেতন নেওয়ার যোগ্যতা রাখি। ইউজিসি ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে চিকিৎসা বাবদ ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। সেটি আমি খরচ করি। এই সব বিষয়ে ইউজিসিকে লিখিত আকারে জানিয়েছি।