মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত ও হাসপাতালের রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।
রবিবার (০৭ মে) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা.হাবিবে মিল্লাত মুন্না অধিদপ্তরের ওই পত্র ই-মেইলে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয় অধিদপ্তরে নির্দেশনা।
এদিকে অধিদপ্তরের পাঠানো গত ২৬ এপ্রিলের চিঠি হাতে পেলেও অধ্যক্ষ অভিযুক্ত সহকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কৌশলে কালক্ষেপণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, নির্দেশনা-পত্রটি কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনা ও খতিয়ে দেখা হবে।
গত ৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসকদের উপস্থিতির ডিজিটাল হাজিরা পর্যালোচনাসহ কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিতি ও কাজে ফাঁকি দেওয়া রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কলেজ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাবিবে মিল্লাত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগ ও পরবর্তী সময়ে এ সম্পর্কিত কলেজ কমিটির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অধিদপ্তর থেকে ব্যবস্থা নিতে অধ্যক্ষকে পত্র দেওয়া হয়।
এ নিয়ে হাবিবে মিল্লাত মুন্না জানান, শুধু কলেজ নয়, হাসপাতাল শাখায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের অনেকেই কর্মক্ষেত্রে ফাঁকি দিচ্ছেন। সম্প্রতি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হওয়ার আগে ডিজিটাল হাজিরার মেশিনও কৌশলে বিকল করা হয়েছে। এতে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে হাসপাতালের চিকিৎসার মান বাড়বে না। রোগীরাও কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
আর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরী বলছেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পত্র কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারা এ বিষয়টি পর্যালোচনা ও তদন্ত করে সুপারিশসহ আমার কাছে পাঠাবে। তাদের সুপারিশ পেলে শাস্তির ব্যবস্থা অগ্রগামী করা হবে।