সরকারি মেডিকেলে ভর্তি শুরু ২৭ মার্চ, যা যা কাগজপত্র লাগবে শিক্ষার্থীদের
দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল প্রকাশ করেন।
এবার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্য পাস করেছেন ৪৯ হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ২৮ হাজার ৩৮১ জন (৫৭.৬৯ শতাংশ) এবং ছেলে শিক্ষার্থী ২০ হাজার ৮১৩ জন (৪২.৩১ শতাংশ)। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০ জন। পাসের হার ৩৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
উত্তীর্ণদের মধ্যে ১ হাজার ৯৫৭ জন ছেলে সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। আর মেয়েদের মধ্যে ২ হাজার ৩৯৩ জন সরকারি মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবেন। সব মিলিয়ে এবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে মোট ৪ হাজার ৩৫০ জন পরীক্ষার্থী পড়ার সুযোগ পাবেন।
সরকারি মেডিকেলে উত্তীর্ণদের আগামী ২৭ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অফিস চলাকালীন সময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আজ রাতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ভর্তি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী কর্তৃক প্রদত্ত সকল মূল সনদপত্র সমূহ যাচাই করবেন এবং মেডিকেল বোর্ড ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন যার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের সাময়িকভাবে ভর্তি করা হবে। তাছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত নির্দেশনা পরবর্তীতে জানানো হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর আরও জানায়, ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত দলিলাদি দাখিল করতে হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ২০২২-২০২৩ সালে শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র; এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট; এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র/প্রশংসা পত্র; চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি; জেলা কোটার দাবীর ক্ষেত্রে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র/পৌরসভার চেয়ারম্যান/ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ ওয়ার্ড কমিশনার প্রদত্ত মূল নাগরিক সনদপত্র; পার্বত্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ এবং জেলা প্রশাসকের সনদ ও অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সার্কেল চীফ বা জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র। অন্যান্য জেলার উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে গোত্র প্রধান ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক প্রদত্ত মূল সনদপত্র; মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং ৪৮.০০.০০০০.০০৩.২৫.০১৯.২০.৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ খ্রি. মূলে প্রকাশিত পরিপত্র এবং সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিধি বিধান অনুযায়ী প্রমানক; প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সরকারি মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ কর্তৃক যাচিত অন্যান্য প্রমানক।
বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, অনলাইন আবেদনপত্রে উপরে উল্লেখিত তথ্যাদির স্বপক্ষে পরিক্ষার্থী কর্তৃক প্রমাণক প্রদানে ব্যর্থ হলে বা প্রদানকৃত তথা অসত্য বলে প্রতীয়মান হলে যে কোন সময় তার ভর্তি বাতিলপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dgme.gov.bd ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজ থেকে জানা যাবে।