নাইটিংগেল মেডিকেলের বিএমডিসিসহ অন্যান্য অনুমোদন থাকার দাবি
গত ১৬ জুন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, দেশের ছয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো বৈধ নয়। এই ছয়টি মেডিকেলের নিবন্ধনও স্থগিত রেখেছে অধিদপ্তর। এর মধ্যে ছিল ঢাকার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজও।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওই প্রজ্ঞাপনে আরও জানানো হয়েছিল, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো যে উদ্দেশ্যে অনুমোদন দেওয়া হয় সেগুলো অনেকক্ষেত্রে তারা পূরণ করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের যে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া দরকার সেগুলোও তারা পান না। অনেক মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে মানা করেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মাইগ্রেশনের দাবিতে সাভারে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের এমন অবস্থার সর্বশেষ প্রেক্ষিতে নানান অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের দাবি জানিয়েছে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধও করে শিক্ষার্থীরা।
এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ নুর ইমাম মেহেদী জানান, নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসি’র অনুমোদন সহ সরকারি সকল নীতিমালা অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শন কমিটির পরিদর্শন শেষে কলেজের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে ভর্তি সংখ্যা ৫০ থেকে উন্নীত করে ৮৫ তে উন্নীত করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বিশাল স্থাপনা সম্বলিত দৃষ্টি নন্দন এই কলেজটির উপর একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অশুভ দৃষ্টি পড়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ৬ বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মানা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন কমিটি ২০১৪ সালে কলেজটির একাডেমিক অনুমোদন নবায়নের সুপারিশ রাখলেও অজ্ঞাত কারণে তৎকালীন মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত কমিটি অনুমোদন না করে পুনরায় তদন্তের সুপারিশ করে। পুন:তদন্ত না হওয়ায় কলেজের অনুমোদন বহাল রেখে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে গেলে হাইকোর্টের ছাত্র ভর্তির নির্দেশনা প্রেক্ষিতে ছাত্র ভর্তি করা হয়।
মেডিকেল কলেজটির দাবি, ভর্তিকৃতদের সঠিকভাবে পড়াশুনা করানো হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রেশন দেয়া এবং নিয়মমাফিক সকল পরীক্ষাও নেয়া হয়েছে। মাইগ্রেশনের জন্য আন্দোলনকারীরা কাদের দ্বারা প্ররোচিত এবং গণমাধ্যমে অনুমোদনবিহীন কলেজ বলার বিরোধিতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অন্য কলেজে মাইগ্রেশনের দাবি নাইটিংগেল মেডিকেল শিক্ষার্থীদের
প্রসঙ্গত, গত জুনে ঢাকার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ ছাড়াও আইচি মেডিকেল কলেজ, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কেয়ার মেডিকেল কলেজ, রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ এবং রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি করানো বৈধ নয় এবং নিবন্ধনও স্থগিত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।