সরকারি মেডিকেলে আসন ফাঁকা ২৯টি

মেডিকেল শিক্ষার্থী
মেডিকেল শিক্ষার্থী   © ফাইল ফটো

দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ২৯টি আসন ফাঁকা হয়েছে। এই আসনগুলোর বিপরীতে চতুর্থ দফার মাইগ্রেশন না করানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন এমবিবিএস প্রথম বর্ষের প্রথম দফার মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তালিকায় ৪৭টি আসন সাধারণ কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৮টি এবং উপজাতীয় কোটায় আসন ছিল ৫টি। প্রথম দফার মাইগ্রেশন শেষে ৬টি আসন ফাঁকা হয়। পরবর্তী অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করায় ফাঁকা আসনের সংখ্যা বেড়ে ২০১-এ দাঁড়ায়। 

এই আসনগুলোর বিপরীতে গত ৮ আগস্ট দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশেনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মাইগ্রেশনের আবেদন করা শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। দ্বিতীয় দফার মাইগ্রেশন শেষে ৬৭টি আসন ফাঁকা হয়। এই আসনগুলোর বিপরীতে তৃতীয় দফার মাইগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়। তৃতীয় দফার মাইগ্রেশন শেষে এখনও ২৯টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ২৯টি আসন ফাঁকা রয়েছে। তবে কোন কোটায় কতগুলো আসন ফাঁকা রয়েছে সে বিষয়টি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চতুর্থ দফার মাইগ্রেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অবসর নিয়েছি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।

তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এমবিবিএস প্রথম বর্ষে চতুর্থ দফার মাইগ্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তৃতীয় দফার মাইগ্রেশনই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শেষ মাইগ্রেশন ছিল।

প্রসঙ্গত,  গত ১ এপ্রিল সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৫৭টি ভেন্যুতে একযোগে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।  এবার ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯১৫ জন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪০ জন ভর্তিচ্ছু অংশ নিয়েছেন। অনুপস্থিত ছিলেন ৪ হাজার ১৭৫ জন। পরীক্ষায় অনুপস্থিতির হার ২ দশমিক ৯ শতাংশ।


সর্বশেষ সংবাদ