কবরস্থানে একসঙ্গে প্রেমিক ও মাদ্রাসাছাত্রী প্রেমিকার বিষ পান
প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার ক্ষোভে একসঙ্গে বিষ পান করে পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক প্রেমিক যুগল আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সকালে উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের চাঁনদকাঠীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারিয়া খানম (১৫) ইউনিয়নের চাঁনদকাঠী গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে ও মুগারঝোর দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। অন্যদিকে নিহত ইয়াছিন তালুকদার (১৭) নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের উলিবুনিয়ার হাফিজ তালুকদারের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, মাদ্রাসাছাত্রী মারিয়ার জমজসহ আরও তিনটি বোন রয়েছে। মারিয়ার বাবা চট্টগ্রামে ব্যবসা করেন। মারিয়া মা-বোনদের সঙ্গে গ্রামে থাকত। ইয়াছিন বাবার সঙ্গে ধান-চালের ব্যবসা করত। চারদিন আগে মারিয়ার গ্রামে ফুফু বাড়িতে বেড়াতে আসে ইয়াছিন। ঘটনার দিন রাতে ফুফাতো ভাইয়ের সঙ্গে দোকানে ঘুমাতে যায় ইয়াছিন।
আরও পড়ুন : ছেলে সম্রাটের কামড়ে আহত নদীর মৃত্যু
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাতে দোকান থেকে বেড়িয়ে যায় ইয়াছিন। পরে ফোন করে মারিয়াকেও ডেকে আনে ইয়াছিন। মারিয়ার বাসা থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত কবরস্থানে একসঙ্গে তারা দুইজনে বিষ পান করেন। পরে সেহরির সময় মারিয়ার মা ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। মেয়েকে ঘরে না পেয়ে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন তিনি।
জানা গেছে, খুঁজাখুঁজি করে বাসা থেকে দূরে অবস্থিত কবরস্থানে অচেতন অবস্থায় তাদেরকে পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া যায়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারিয়া ও ইয়াসিনের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি তাদের পরিবার জানতো। এরপর উভয় পরিবার তাদেরকে বাধা দেয়। এ নিয়ে মারিয়াকে তার মা গালিগালাজও করেন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, মরদেহ উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পরিবার থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় তারা আত্মহত্যা করেছেন।