এমপিওর অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কমিটি গঠন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২২, ০৫:৩৬ PM , আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২, ০৫:৪২ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০২১ সালের সংশোধিত এমপিও নীতিমালার অসামঞ্জস্যতা দূর করতে কমিটি গঠন করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে সুপারিশমালা প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন, সহকারী পরিচালক (অর্থ) মো. লুৎফর রহমান।
আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা নিরসনে প্রস্তাবনা/সুপারিশমালা প্রেরণের জন্য ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
আরও পড়ুন: লিখিত পেলে এমপিও সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেব: মাদ্রাসা ডিজি
অফিস আদেশের তথ্য অনুযায়ী কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের উপপরিচালককে (অর্থ), সদস্য করা হয়েছে খুলনা বিভাগের পরিদর্শককে। আর সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর বিভিন্ন অসামঞ্জস্যতা চিহ্নিতকরণ। অসমাঞ্জস্যতা দূরীকরণে এতদসংক্রান্ত অন্যান্য আইন/বিধি/নীতিমালা পর্যালোচনা। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবেন এবং এতদবিষয়ে মাদ্রাসার অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করতে পারবেন। উক্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের কর্মদিবসের মধ্যে প্রস্তাবনা/সুপারিশমালা প্রেরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্র জাবেরের মরদেহ ভেসে উঠলো শীতলক্ষ্যায়
প্রসঙ্গত, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষকের মধ্যে যাদের বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো তাদের এমপিও ফাইল গণহারে রিজেক্টের অভিযোগ ওঠে। প্রার্থীরা জানান, ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪ নং পয়েন্টে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের (৩৯০০/২০১৯) মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৮ সালের পূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল যোগ্য।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে এমপিওর জন্য আবেদন করেছেন তারা। তবে বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বো হওয়ায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় প্রোগ্রামার তাদের এমপিও ফাইল রিজেক্ট করে দিচ্ছেন। এই অবস্থার দ্রুত সমাধান চান তারা।