০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৪১

মাদ্রাসার ছাত্রকে পিটিয়ে জখম, হাসপাতালে ভর্তি

শেরপুর সদর হাসপাতাল  © সংগৃহীত

একদিন মাদ্রাসায় না যাওয়ায় ছাত্রকে বেধড়ক পিটুনি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি আছে। পিটুনির কারণে ছাত্রের পিঠে ও হাতে কালসিটে দাগ পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমানুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। সোমবার দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের পূর্ব খরিয়া গ্রামের নূর হেরা নূরানী তালিমুল কোরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

মারধরের শিকার ছাত্রের বাবা বলেন, আমার ছেলে নিয়মিত মাদ্রাসায় যেত। পারিবারিক সমস্যার কারণে এক দিন যায়নি। সোমবার মাদ্রাসায় যাওয়ার পর দুপুরে সহকারী শিক্ষক মো. আমানুল্লাহ আমার ছেলেকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধড়ক পেটান। তিনি আমার অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। শরীরের জখম দেখে আমি তাকে রাতে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমি মামলা করব। এমন শিক্ষকের বিচার চাই।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও শিক্ষক আমানুল্লাহর মারধরের শিকার হয়ে বেশ কয়েকজন ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। গতকাল ওই ছাত্রকে নিজের কক্ষে নিয়ে তিনি মারধর করেন। পরে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

ছাত্রের পিঠে ও হাতে কালসিটে দাগ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হুমায়ুন আহমেদ নূর। তিনি জানান, ওই ছাত্র সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের মারধরের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে এর আগেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। মারধরের শিকার হয়ে অনেক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।